ঘূর্ণিঝড় ইয়াস : নোয়াখালীতে প্রস্তুত ৩৯০ আশ্রয়কেন্দ্র
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির ভার্চুয়াল সভা
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস থেকে মেঘনা উপকূলীয় বাসিন্দাদের রক্ষায় নোয়াখালীতে ৩৯০ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগের আগে ও পরে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ১০৯টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের হটলাইন নম্বরগুলো ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। নম্বরগুলো জনসাধারণের জন্য প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ মে) দুপুর ১২টায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির ভার্চুয়াল সভা শেষে ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, দুর্যোগ মুহূর্তে মেঘনা উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ৩০০ মেট্রিক টন চাল, ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, শিশুখাদ্যের জন্য ৯ লাখ ও গোখাদ্যের জন্য ৯ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১৪ লাখ টাকা ও ৩০০ মেট্রিক টন চাল মজুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় থেকে জনগণকে রক্ষা করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
ভার্চুয়াল সভায় জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন, সিভিল সার্জন ড. মাসুম ইফতেখারসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, মেঘনা তীরবর্তী জেলা নোয়াখালী। এ জেলার হাতিয়া, সূবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মেঘনা নদী ঘিরে আছে। সূবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মেঘনা নদী হয়ে বঙ্গোপসাগর কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে।
এ কারণে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ অঞ্চলটি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। জেলার সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলা পুরোটা মেঘনা নদীর দ্বারা বেষ্টিত। তাই যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এই দ্বীপটির ওপর আঘাত হানে বেশি।
হাসিব আল আমিন/এমএসআর