গাজীপুরের শ্রীপুরে এক গৃহবধূকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোমবার (২৪ মে) পৌর এলাকার দক্ষিণ ভাংনাহাটি গ্রামের কেচু মিয়ার ছেলে রুবেলকে (৩৮) অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেছেন ওই গৃহবধূ। এছাড়াও তার সঙ্গে অজ্ঞাত আরও কয়েকজন ছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ মে রাত ৮টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর হতে বের হন ওই গৃহবধূ। ওই সময় তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। পরে ঘরে ঢুকার কিছু সময় পর কয়েকজন মুখোশধারী যুবক তার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে হাত, পা, মুখ ও গলা চেপে ধরে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে রুবেলের মুখোশ খুলে যায়। পরে তারা লাঠি ও লোহার রড দিয়ে গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে চুপ থাকতে বলে ও বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিতে থাকে। মুখোশধারী এক যুবক তার মুখের ভেতর হাত ঢুকায় এবং অপর মুখোশধারী মুখে কিছু ঢেলে খাইয়ে দিলে তিনি জ্ঞান হারান। পরে তাকে ধর্ষণ করা হয়। 

ওই গৃহবধূ জানান, ঘটনার পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার স্বামী এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে আশপাশের লোকজন এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। জ্ঞান না ফেরায় পরে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

শ্রীপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

শিহাব খান/আরএআর