২০৩০ সালের মধ্যে কৃষকের আয় দ্বিগুণ হবে
রংপুরে ইআইআরপি প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়ে অবহিতকরণ সভা
২০৩০ সালের মধ্যে কৃষকের আয় দ্বিগুণ করতে কাজ করছে সরকার। একই সঙ্গে রংপুরের চরাঞ্চলে খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকের কাছে সেচ সুবিধা পৌঁছে দিতে ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৯ মে) বিকেলে রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইআইআরপি প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়ে অবহিতকরণ সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, রংপুরের ধু ধু বালুচরে কৃষকরা মিষ্টি কুমড়া, ক্যাপসিকাম, মরিচ, পেঁয়াজ, শালগমসহ নানা ফসল উৎপাদন করছেন। শুধুমাত্র সেচের সুবিধা দিতে পারলে তারা অনেক খাদ্যশস্য উৎপাদন করে সারাদেশে সরবরাহ করতে পারবে।
চরে ফসল উৎপাদনের প্রতিকূলতা কাটিয়ে কৃষকের উদ্ভাবনী চিন্তাধারাকে উৎসাহিত করতে কৃষি বিভাগকে কাজ করার আহ্বান জানান সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে কৃষকের আয় দ্বিগুণ করতে কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য কৃষকের দোড়গোড়ায় সেচ সুবিধাসহ কৃষকদের স্বার্থে গৃহীত সরকারের সব সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এর মধ্যে সেচ খাতে আরও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
সভায় বিএমডিএ’র ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলার সেচ সম্প্রসারণ কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এতে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা অংশ নেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভূঞা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুজ্জামান, বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদ, রংপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও ইআইআরপি প্রকল্পের পরিচালক হাবিবুর রহমান খান।
সভায় রংপুর বিভাগের আট জেলার জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভা মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসআর