প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বিলে নিয়ে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছেন স্বামী। এ ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে ঘাতক স্বামী অহিদ মুন্সী (৩৮) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

শুক্রবার (০৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শ্রীনগর থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান। 

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বালাসুর বানিয়াবাড়ি এলাকার বাঘাডাঙ্গার একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় পারভীন আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ পারভীন আক্তারের স্বামী অহিদ মুন্সীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে তিনি মুন্সিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। 

অহিদ মুন্সী জানিয়েছেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের স্ত্রী পারভীন আক্তারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সে লক্ষ্যে গত বুধবার (০২ জুন) রাতে স্ত্রীকে কৌশলে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে আড়িয়াল বিল সংলগ্ন কামলার বিলে নিয়ে যান। সেখানে রাত আড়াইটার দিকে স্ত্রী পারভীনকে কাঁচি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে  মরদেহ গুম করার লক্ষ্যে বিলের একটি পুকুরে কচুরি পানা দিয়ে ঢেকে রাখেন। সকালে বাড়িতে এসে নিজ গায়ের জামা কাপড় পাল্টে এলাকায় বলাবলি শুরু করেন- প্রতিবেশী রাজা মিয়ারা তাকে ও তার স্ত্রীকে তুলে বিলে নিয়ে মারধর করেছে। সে কোনো মতো পালিয়ে এসেছে।

পুলিশ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় পারভীনের ভাই বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। অহিদ মুন্সীর দেওয়া তথ্যমতে পুকুর থেকে ধারালো কাঁচি, লুকানো জামা-কাপড়, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।

পারভীন-অহিদ দম্পতির সম্পা (১৬), মিম (৮) ও জান্নাত (৪) নামে তিন মেয়ে এবং ইয়াসিন (১২) নামে এক ছেলে রয়েছে। গত শুক্রবার (২৮ মে) তাদের বড় মেয়ে সম্পার বিয়ে হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেদায়েতুল ইসলাম ভূঞা, ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন, ওসি (অপারেশন) মো. আজগর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

ব.ম শামীম/আরএআর