নওগাঁর রাণীনগরে জেসমিন আক্তার (৩২) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রাণীনগর থানা পুলিশ শনিবার (৫ জুন) দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।

রাণীনগর উপজেলার মিরাট চরকানাই গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। জেসমিন ওই গ্রামের সৌদিপ্রবাসী আব্দুল বারিকের স্ত্রী এবং একই এলাকার মিরাট মোল্লাপাড়া গ্রামের বাদেশ আলীর মেয়ে।

গৃহবধূ জেসমিন আক্তারের মামা আজাহর আলী বলেন, ১৫ থেকে ১৬ বছর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে তার ভাগনি জেসমিনকে উপজেলার চরকানাই গ্রামে আব্দুল বারিকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর এক পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। এরই মধ্যে জামাই বারিক সৌদিতে চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, এর পর থেকে জেসমিনের ভাসুর, শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন তাকে নানা কারণে নির্যাতন করত। প্রায় একমাস আগে জেসমিনকে ভাসুর জয়বুলসহ পরিবারের লোকজন মারধর করলে সে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর স্থানীয় মেম্বার ও গণ্যমান্য লোকজন বসে বিষয়টি সমাধান করে দেন।

আজাহার আরও বলেন, তার ভাগনি যে মারা গেছে এই খবর আমাদের তার পরিবারের কেউ জানাননি। আমরা খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছি। ভাগনি জেসমিনকে হয়তো হত্যা করা হয়েছে।

জেসমিনের ভাসুর জয়বুলসহ স্থানীয়রা বলেন, শুক্রবার দুপুরে প্রতিবেশীর এক বিয়ে অনুষ্ঠানে বরযাত্রী হয়ে যায় জেসমিন ও তার ছেলে জিহাদ। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফিরে আসে জেসমিন। এ সময় ছেলে জিহাদ হোসেন বাড়িতে ফিরে আসতে দেরি হওয়ায় জেসমিন ছেলেকে মারধর করে।

এমন সংবাদ জিহাদ তার বাবা আব্দুল বারিককে সৌদি আরবে মুঠোফোনে জানালে বারিক ফোনে তার স্ত্রী জেসমিনের সঙ্গে কথা বলেন। এর কিছু পরেই জেসমিন আক্তার বাড়িতে ঢুকে গ্যাসের ট্যাবলেট খায়।

এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হওয়ায় ওই রাতেই রাজশাহী নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

রাণীনগর থানার ওসি শাহিন আকন্দ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

শামীনূর রহমান/এমএসআর