ছাত্রলীগ সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেল

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ছেলের কলা খাওয়ার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে চা দোকানদার বাবাকে কর্মী দিয়ে ধরে নিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে জুড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী স্বপন মিয়া। 

ভুক্তভোগী স্বপন মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, ছেলে প্রবাসী নাইম আহমদ কয়েকদিন আগে দুবাইয়ে বসে কলা খাওয়ার একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেন, ‘কলা খাচ্ছি, আরাম পাচ্ছি’। এ ছবি দেখে ক্ষিপ্ত হন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেল। এই ক্ষোভ থেকে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) রাতে তার স্বামী স্বপন মিয়াকে নিজের চা দোকান থেকে ছাত্রলীগ সভাপতি সাবেলের নির্দেশে তার গ্রুপের কর্মীরা জুড়ী নিউ মার্কেটে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে ছাত্রলীগ সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেলসহ সঙ্গীরা তার স্বামীকে চড়-থাপ্পড় মেরে কান ধরে উঠবস করায়। পরে উপস্থিত সবার সামনে স্বপন মিয়াকে সাবেলের পা ধরে ক্ষমা চাওয়ায়। ছেলের বয়সী ছাত্রলীগ সভাপতির পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে পার পান চা দোকানদার স্বপন মিয়া। পরে তিনি জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন এবং থানায় অভিযোগ করেন। 

তিনি বলেন, ঘটনার পর দিন শুক্রবার রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার মধ্যস্থতায় থানায় সালিশ বৈঠক বসে। সেখানেও ছাত্রলীগ সভাপতি সাবেলসহ তার কর্মীরা বিচার না মেনে দা নিয়ে ধাওয়া করেন।

স্বপন মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, এ ঘটনার পর থেকে আমার স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তিনি সিলেট এম এ জি ওসমানীতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

তিনি বলেন, এক সময় তার (সাবেলের) বাবা কলা বিক্রি করতেন। এই কারণে নাকি আমার ছেলে কলা খাওয়ার ছবি ফেসবুকে ছেড়ে তাকে অপমান করেছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেল বলেন, আমি প্রতিহিংসার স্বীকার। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেনস্তার জন্য মিথ্যা ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভুয়া। তিনি বলেন, পরিবেশমন্ত্রী মহোদয়, দলীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসন অবগত হয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা চালাচ্ছেন।

অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ওমর ফারুক নাঈম/এসএসএইচ