হাসপাতালে ভর্তি যুগল সোম

সুদের টাকা দিতে না পেরে পাওনাদারের সামনেই বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন যুগল সোম (৪৫) নামে এক পান ব্যবসায়ী। 

শুক্রবার (১২ জুন) রাত সোয়া ১০টার দিকে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার মাহিলারা ইউনিয়নের জঙ্গলপট্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। যুগল সোমের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক।

যুগল সোমের স্ত্রী কবিতা সোম অভিযোগ করেন, তার স্বামী একজন ক্ষুদ্র পানচাষী। বিভিন্ন হাট-বাজারের খুচরা পান বিক্রি করে সংসার চালান। এলাকার লোকজনের সঙ্গে মিলে তিনি একটি গ্রাম্য সমিতিতে যোগ দেন। সংসার চালাতে গিয়ে ওই সমিতি থেকে ২০২০ সালে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নেন। এছাড়াও বাদল রায়, বাদল কর ও নির্মল দে নামে তিনজনের কাছ থেকে সুদে কিছু টাকা নেন। করোনার কারণে সুদের টাকা ঠিকভাবে পরিশোধ করতে পারছিলেন না।

শুক্রবার রাতে বাদল রায় যুগলের বাড়িতে গিয়ে সুদের টাকার জন্য ‘গালিগালাজ’ করেন। যুগল টাকা শোধ করার জন্য সময় চান। কিন্তু তাতে রাজি হননি বাদল রায়। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যুগল সোম বলেন, টাকা পরিশোধের সময় না দিলে বিষ খেয়ে মরে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। তখন বাদল রায় বলেন, টাকা দিতে না পারলে বিষ খেয়ে মরে যাওয়াই ভালো। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘর থেকে পান বরজের জন্য এনে রাখা বিষয় নিয়ে এসে বাদল রায়ের সামনেই তা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

বাদল রায় বলেন, আমার কাছ থেকে যুগল ৮৪ হাজার টাকা নিয়েছে। আমি আমার টাকার জন্য নয় সমিতির টাকার জন্য তাকে চাপ দিয়েছি। খারাপ ব্যবহার করিনি। আমি টাকা চাইতে গেলে তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে ঝগড়া শুরু করে। এক পর্যায়ে পর্যায়ে যুগল বিষ পান করেন।

আরেক পাওনাদার বাদল কর জানিয়েছেন, তিনি যুগলের কাছে ৫০ হাজার টাকা পাবেন। নির্মল দে’র স্ত্রী কাজল দে বলেন, যুগলের কাছে আমরা দুই লাখ ২০ হাজার টাকা পাবো। তিনি আমাদের বেয়াই হন।

গৌরনদী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তৌহিদুজ্জামান সোহাগ জানিয়েছেন, এমন অভিযোগ কেউ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএইচ