শ্রীনগরে আড়িয়াল বিলের খালের মাটি লুট করছে প্রভাবশালী মহল

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার আড়িয়াল বিলের খালের মাটি হরিলুট করা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ১৫টি এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি তুলে সেই মাটি ইঞ্জিনচালিত নৌকার মাধ্যমে হরিলুট করছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। মহলটি দিনরাতে সমান তালে বিলের মাটি লুট করছে। 

সরেজমিন আড়িয়াল বিলের বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, বিলের মাটি কেটে বড় বড় মাটির স্তূপ তৈরি করা রয়েছে। হঠাৎ দেখে মনে হবে বিলের পানিতে যেন অসংখ্য পাহাড় বা দ্বীপ রয়েছে।

জানা গেছে, শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী, হাসাড়া, ষোলঘর, শ্রীনগর, শ্যামসিদ্দি, রাঢ়ীখাল, ভাগ্যকুল ও বাঘড়াসহ ৭টি ইউনিয়নের নদী-নালা এবং খাল-বিল ছাড়া আড়িয়াল বিলে প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে। শ্রেণিভেদে এসব জমিতে সারাবছর কোনও না কোনো ফসল উৎপাদন করা হয়।

কিন্তু কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি ও উৎপাদিত ধানের যথাযথ মূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। তাই তাদের ফসলি জমিগুলোতে মাছ চাষের জন্য পুকুর, ডাঙায় পরিণত করা হচ্ছে।

জমির সেই মাটি গাড়িপ্রতি (ট্রাক্টর) ২২শ ও প্রতিট্রলার ২৫শ টাকায় বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রয় করছেন পুকুর ব্যবসায়ীরা। সেই সঙ্গে সরকারি খালের মাটিও হরিলুট হয়ে যাচ্ছে।

ইতোমধ্যেই শুধু বাড়ৈখালী ও হাসাড়া ইউনিয়নেই অর্ধশতাধিক পুকুর খনন করা হয়েছে।

বাড়ৈখালী মৌজায় জমির মালিক মিলনের মাটি কেটে পুকুর খনন করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জমির মাটি আমি কাটব— এ নিয়ে কারও কাছে জবাবদিহি করতে হবে?

শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রহিমা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালের মাটি ও পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমএসআর