বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ (ফাইল ছবি)

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা তৃতীয়বারের মতো পিছিয়েছে। বুধবার (৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ ও মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে শুনানির দিন ধার্য্য ছিল।

প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় দুদক আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আগামী ১০ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেন।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। তদন্ত করতে তাই কিছুটা সময় লাগছে। আসামির পক্ষের জামিনের বিষয়েও শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়েছে ১০ জানুয়ারি।  

জানা যায়, গত ১৩ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার দিন নির্ধারিত থাকলেও সেদিন তা জমা দেয়নি দুদক। তখন ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিল আদালত। সেদিনও প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ৬ জানুয়ারি সময় দেওয়া হয়েছিল। গত ২০ সেপ্টেম্বর আদালত ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটির এজহারে উল্লিখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।

দুদকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই আদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রদীপ কুমার দাশের করা জামিন আবেদনও নামঞ্জুর করা হয়েছিল সেদিন।

দুদকের করা মামলার এজাহারে নগরীর কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা এলাকার একটি ছয়তলা বাড়ি প্রদীপ কুমার দাশ ‘ঘুষ ও দুর্নীতির’ মাধ্যমে অর্জিত অর্থ গোপন করার জন্য শ্বশুরের নামে নির্মাণ করেন বলে উল্লেখ করা হয়। 

পরবর্তীতে ওই বাড়িটি প্রদীপ দাশের শ্বশুর তার স্ত্রী চুমকি কারণের নামে দান করেন। দানপত্র দলিল হলেও বাড়িটি প্রদীপ দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণ কর্তৃক অর্জিত বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এই মামলার আরেক আসামি প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী চুমকি পলাতক আছেন। এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর টেকনাফের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে চট্টগ্রামে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে ওসি প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় ওসি প্রদীপের সঙ্গে তার স্ত্রী চুমকি কারণকেও আসামি করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।

এমএসআর