আবাসিক হোটেলে মাদক-জুয়ার আসর, ৬ পুলিশ বরখাস্ত
ফাইল ছবি
মাদক সেবন ও জুয়া খেলায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ছয়জন সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক তাদের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার (৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজশাহী কলেজ ছাত্রাবাস সংলগ্ন একটি আবাসিক হোটেল থেকে ওই ছয় জনকে হাতেনাতে আটক করে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
বরখাস্তরা হলেন- সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল বারেক, এএসআই মিজানুর রহমান, নায়েক আফজাল সরকার, কনস্টেবল ফরহাদ হোসেন, কনস্টেবল আবদুস সালাম এবং কনস্টেবল সাহেদ আলী।
এদের মধ্যে এএসআই আবদুল বারেক, এএসআই মিজানুর রহমান ও নায়েক আফজাল সরকার আরএমপির এসএএফ শাখায় কর্মরত। এছাড়া কনস্টেবল ফরহাদ হোসেন এমটি শাখায়, কনস্টেবল আবদুস সালাম মেট্রোকোর্ট এবং কনস্টেবল সাহেদ আলী পিওএম বিভাগে কর্মরত ছিলেন। বুধবার রাতেই তাদের পুলিশ লাইন্সে পাঠানো হয়। এখন সেখানেই তারা সংযুক্ত রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
আরএমপি কমিশনার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বুধবার দিবাগত রাতে নগরীর শেখপাড়া এলাকায় ‘বিয়ের আমন্ত্রণ’ নামে একটি আবাসিক হোটেলের দোতলার ২০২ নম্বর কক্ষে টাকা দিয়ে তাসের মাধ্যমে জুয়া খেলাসহ মাদক সেবন করেন। রাত ১টা ২২ মিনিটে বোয়ালিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বিষয়টি অবগত হয়ে সেখানে যান। এ সময় তিনি টাকা দিয়ে তাসের মাধ্যমে জুয়া খেলাসহ মাদক সেবনের সত্যতা পান। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে এসআই মাসুদ রানা ওই ছয় পুলিশ সদস্যকে আরএমপির আরআই মাহফুজুর রহমান ও আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছে জিম্মানামার মাধ্যমে হস্তান্তর করেন।
আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, ওই ছয় পুলিশ সদস্যের এমন কার্যকলাপ বিভাগীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী ও অসাদচরণের শামিল। পিআরবি রুলস ৮৮০ মোতাবেক তাদের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালীন তারা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।
আরএআর