টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার মিরিকপুর গ্রামের জোবায়ের ইসলাম জিসান আদর করে তার ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়ের নাম রেখেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খানের নামে। শান্ত প্রকৃতির ও সাদা রঙের এই শাকিব খানের ওজন ৩১ মণ। তিনি সাত ফুট লম্বা শাকিবের দাম হাঁকছেন ১৩ লাখ টাকা। ষাঁড়টির বয়স দুই বছর সাত মাস। আসন্ন কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য ষাঁড়টি প্রস্তুত করা হয়েছে। উপজেলার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় ষাঁড় বলে দাবি জিসানের। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আড়াই বছর আগে জোবায়ের ইসলাম জিসানের খামারেই ষাঁড়টির জন্ম হয়। এরপর থেকে কোনো প্রকার ক্ষতিকর ওষুধ এবং খাবার ছাড়াই সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়ে তাকে লালনপালন করেছেন জিসান। ষাঁড়টি দেখতে ভিড় করছে আশপাশের মানুষজন। এর মধ্যে অনেক ক্রেতাই গরুটি কিনতে এসেছেন। কিন্তু দাম দর ঠিক না হওয়ায় এখনও গরুটি বিক্রি হয়নি। জিসান এই গরুটির দাম চাইছেন ১৩ লাখ টাকা।

জোবায়ের ইসলাম জিসান বলেন, ষাঁড়টি দেখতে সাদা। ষাঁড়টি খুবই শান্ত প্রকৃতির। ছোটবেলা থেকেই দেশীয় খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিটিকে লালনপালন করেছি। এখন এর ওজন হয়েছে প্রায় ৩১ মণ। এর আগে ২০১৭ সালের শেষের দিকে পরিকল্পানা অনুযায়ী তিনটি গাভি দিয়ে খামারটি শুরু করা হয়। বর্তমানে খামারে ২৫টি ষাঁড় ও গাভি রয়েছে। এদের মধ্যে ছয়টি ষাঁড় এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। খামারে শাকিব খান ছাড়াও প্রায় একই ওজনের আরও একটি ষাঁড় রয়েছে। তার নাম রাখা হয়েছে ডিপজল। সেটা দেখতে কালো। ষাঁড় দুটির জন্মের পরপরই খামারের ম্যানেজার তাদের নাম রাখেন শাকিব খান ও ডিপজল।

ষাঁড়ের নাম শাকিব খান রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ভিন্নভাবে পরিচিতি পেতে ষাঁড়টির নাম চিত্রনায়ক শাকিব খানের নামে রাখা হয়েছে। এতে মানুষ আকৃষ্ট হয়। ষাঁড়টি দেখতে আশপাশের মানুষজন ভিড় করছে। 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রৌশনী আকতার জানান, জিসানের খামারে দেশীয় খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে লালনপালন করা হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে নিয়মিতভাবে ষাঁড়টিকে দেখাশোনা করা হয়েছে। উপজেলায় এই ষাঁড়টিই সবচেয়ে বড় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 অভিজিৎ ঘোষ/আরএআর