বগুড়ায় নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণ ও অপর এক নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া তাদের সহযোগিতার দায়ে এক তরুণীকেও গ্রেফতার করা হয়৷

ধর্ষণের শিকার কিশোরী (১৪) সপ্তম শ্রেণিতে এবং ধর্ষণচেষ্টার শিকার অপর কিশোরী (১৩) পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। তারা শহরে একটি স্কুলে পড়াশোনা করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন শহরের উত্তর চেলোপাড়ার মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে রাজু আহমেদ (২৭), গাবতলী উপজেলার নিশিন্দারা আকন্দপাড়ার আনিসার রহমানের ছেলে নয়ন মিয়া শাহ (৩০) ও তাদের সহযোগিতাকারী হিসেবে অভিযুক্ত শহরের মালগ্রাম এলাকার গাফফার মণ্ডলের মেয়ে নিদু খাতুন নেহা (১৮)।

নেহার বাবার বাড়ি মালগ্রাম এলাকায় হওয়ায় প্রতিবেশী দুই কিশোরীর সঙ্গে তার সংখ্য গড়ে ওঠে। মালগ্রামেই নেহার বাবার বাড়িতে কিশোরীদের সঙ্গে অভিযুক্ত দুই যুবকের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তারা তাদের নৃত্যশিল্পী হওয়ার সুযোগ গড়ে দেবেন বলে প্রলোভন দেখান৷

শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় সদর থানা পুলিশ শহরের দত্তবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক রাজু ও সহযোগিতাকারী নেহাকে গ্রেফতার করে। পরে রাত দেড়টায় গাবতলী উপজেলার পাঁচ মাইল এলাকা থেকে ধর্ষণচেষ্টার দায়ে অভিযুক্ত নয়নকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বগুড়া সদর থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার ৩ জন নৃত্যশিল্পী হিসেবে পরিচিত। তাদের মধ্যে নেহা শহরের দত্তবাড়ি এলাকার বেনিকুণ্ড রোডের মিনকো প্যালেসে ভাড়া থাকতেন। নেহার বাবার বাড়ি মালগ্রাম এলাকায় হওয়ায় প্রতিবেশী দুই কিশোরীর সঙ্গে তার সংখ্য গড়ে ওঠে। মালগ্রামেই নেহার বাবার বাড়িতে কিশোরীদের সঙ্গে অভিযুক্ত দুই যুবকের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তারা তাদের নৃত্যশিল্পী হওয়ার সুযোগ গড়ে দেবেন বলে প্রলোভন দেখান৷

অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, ৭ জানুয়ারি দুই কিশোরীকে দুই তরুণ নেহার মাধ্যমে দত্তবাড়ির ভাড়া বাসায় ডেকে নেন নৃত্য বিষয়ে আলোচনার কথা বলে। কিশোরীরা তাদের বাসায় বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে সেখানে যান। সেখানে আড্ডার এক পর্যায়ে রাজু সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া কিশোরীকে ধর্ষণ করেন এবং নয়ন পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া কিশোরীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করেন। পরের দিন দুই কিশোরী সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে গেলে তাদের অভিভাবকদের জেরার মুখে সব খুলে বলে। এরপর ভুক্তভোগী দুই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্রবার রাত ১২টায় মামলা করা হয়।

বগুড়া সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ঢাকা পোস্টকে জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর খুব অল্প সময়ে আমরা অভিযুক্ত সব আসামিকে গ্রেফতার করেছি। ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। আসামিদের আজ শনিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এনএ