ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছ থেকে আর রক্ষা হলো না
ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের জেল দিয়েছেন
বগুড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এমদাদুল হক (৫০) নামের দাঁতবিষয়ক এক ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের জেল দিয়েছেন।
রোববার (৪ জুলাই) বিকেলে কাহালু উপজেলার মুরইল বাসস্ট্যান্ডে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
বিজ্ঞাপন
সাজাপ্রাপ্ত এমদাদুল হক কাহালু উপজেলার মুরইল ইউনিয়নের ভালতা গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, এমদাদুল দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় দাঁতের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। তিনি সাইনবোর্ড ও নিজ নামে প্যাডে ডিগ্রিধারী চিকিৎসক হিসেবে এ চিকিৎসা করছেন। তাই মানুষ বুঝতে পারেনি।
বিজ্ঞাপন
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে করোনায় লকডাউন কার্যকরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। দুপুরের দিকে তিনি উপজেলার মুরইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে দাঁতের চিকিৎসকের চেম্বারে যান।
এ সময় ওই এমদাদুল হক তার কোনো ডিগ্রির কাগজপত্র বা চিকিৎসা প্রদানের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাছুদুর রহমান জানান, এমদাদুলের চেম্বারটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের নজরে আসে। চিকিৎসা করার মতো তার কোনো যোগ্যতা ও অনুমতি না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ছয় মাসের জেল দেওয়া হয়েছে।
সাখাওয়অত হোসেন জনি/এনএ