তাহলে কি নাটক সাজিয়েছিলেন সেই ব্যাংক কর্মকর্তা!
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী থেকে গত ৩০ জুন রোহিঙ্গাদের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ হামিদ হোসেন নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে অপহরণ করে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর ২ জুলাই রাতে পরিবারের পক্ষ থেকেই জানানো হয় হামিদকে সন্ত্রাসীরা মুক্তি দিয়েছে।
রোববার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় টেকনাফের কাঞ্জরপাড়া থেকে ১৯ লাখ ৯২ হাজার টাকাসহ ওই ব্যাংক কর্মকর্তা হামিদকেই আটক করেছে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ। অভিযোগ, তিনি আরেকজনের ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন!
বিজ্ঞাপন
তাহলে হামিদ হোসেন কি অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন? বিষয়টি এখনো পরিষ্কার করেনি পুলিশ।
হামিদ হোসেন টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জরপাড়া এলাকার খায়রুল আলমের ছেলে। তিনি আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উখিয়ার কুতুপালং শাখার ক্যাশিয়ার হিসেবে কর্মরত।
বিজ্ঞাপন
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কিছুদিন আগে ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে ইকবাল নামে একজন হামিদ হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগ তদন্তে নামার পর পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন হামিদ। গত ৩০ জুন তার পরিবার জানায়, সন্ত্রাসী গ্রুপ আল-ইয়াকিন তাকে অপহরণ করেছে।
শুক্রবার (২ জুলাই) তাকে মুক্তি দেওয়ার খবর পেয়ে আমরা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করি। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় জাহাঙ্গীর নামে একজনের বাড়ি থেকে ১৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আর কারা জড়িত সে বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।
এর আগে পরিবার জানায়, ৩০ জুন সকালে নিজ বাড়ি হোয়াইক্যংয়ের কাঞ্জরপাড়া থেকে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক কুতুপালং শাখায় যাওয়ার পথে বালুখালী পানবাজার এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় হামিদ হোসেন। থানায় অভিযোগ করার পর থেকে অপরিচিত এক নম্বর (০১৯৫৬০৭৪২৬৮) থেকে ফোন দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ করে পরিবার।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে বলা হয়, বাড়ি থেকে কর্মস্থল কুতুপালংয়ে যাওয়ার পথে হামিদ হোসেনকে তালহা নামে এক ব্যক্তি ফোন করে বালুখালীর পানবাজারে নামতে বলেন। সেখানে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে ফোনও দেন হামিদ। এর কিছুক্ষণ পর থেকে নিখোঁজ হন হামিদ। বালুখালী থেকে তাকে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী গ্রুপ হারাকা আল ইয়াকিনের সদস্যরাই তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করে পরিবার।
মহিব/এমএএস/জেএস