কুয়াশার সঙ্গে বেড়েছে শীত, দুর্ভোগে তিস্তা পাড়ের মানুষ
কুয়াশায় আচ্ছন্ন প্রকৃতি
সূর্যের দেখা মিললেও হঠাৎ করেই লালমনিরহাটে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশার সঙ্গে বাড়ছে শীত। জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যার ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তিস্তা ও ধরলা তীরবর্তী ছিন্নমূল মানুষরা।
রোববার (১০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টায় কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে বাজারগুলোতে তেমন দোকান-পাট খুলতে দেখা যায়নি। লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। লোকজনের চলাচলও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম। বিশেষ করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তিস্তা চরাঞ্চলের মানুষরা।
তিস্তা চরাঞ্চলের বাসিন্দা আবু হোসেন বলেন, গরম কাপড়ের অভাবে বাইরে ঠিকভাবে কাজ করতেও পারছি না। স্থানীয় ইউপি সদস্যদের বললেও তারা কোনো গুরুত্ব দেন না। দিন এনে, দিন খাই। প্রতিনিয়ত চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
অটোরিকশা চালক সোবাহান মিয়া বলেন, হঠাৎ করেই কুয়াশা বেড়েছে। হেডলাইট জ্বালিয়েও সড়ক দেখা যায় না। গাড়ি না চালাতে পারলে আমরা কিভাবে সংসার চালাবো। পরিবার নিয়ে বড়ই চিন্তায় আছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তিনি যেন গরীব ও দুস্থ পরিবারের দিকে একটু তাকায়।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র রায় বলেন, গত কয়েকদিনের থেকে আজ তাপমাত্রা কমেছে। যার ফলে শীত ও ঘন কুয়াশা বেড়ে গেছে। তবে বিকেল হতে হতে ঘন কুয়াশা কেটে যেতে পারে। এই তাপমাত্রা কয়েকদিন থাকতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে যথেষ্ট কম্বল ও শীতবস্ত্র রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। এই শীতে যেন কোনো মানুষ কষ্ট না পায় সেদিকে লক্ষ্য করেই আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এসপি