স্কুলমাঠে খেলতে পারছে না শিশু-কিশোররা
গোয়ালন্দে উজানচর ইউনিয়নের জামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠজুড়ে নির্মাণসামগ্রী
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের জামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে গত দেড় বছর ধরে নির্মাণসামগ্রী ফেলে রেখেছেন ঠিকাদাররা। এতে করে খেলাধুলা করতে পারছে না ওই এলাকার শিশু-কিশোরেরা।
এ ছাড়াও করোনায় দীর্ঘসময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে বিদ্যালয় পুনরায় খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলাসহ নিয়মিত অধিবেশন ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকেরা।
বিজ্ঞাপন
এ অবস্থায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকেরা ঠিকাদারদের এ বিষয়ে বারবার তাগিদ দিলেও তারা কর্ণপাত করছে না। অবিলম্বে বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে নির্মাণসামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার জামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠটি একমাত্র খেলার মাঠ। এই মাঠের অধিকাংশ জায়গায় ইট, বালু, খোয়া ও বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী দিয়ে দখল করে রাখা হয়েছে। এতে করে মাঠটিতে খেলাধুলা করতে নানামুখী সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয় যুবক ওয়াসিম, সাদ্দাম, রুবেল, রায়হান, সাহাদাৎ হোসেন সহ অনেকেই বলেন, স্কুলের এ মাঠটিতে বছরজুড়ে চলে ক্রিকেট-ফুটবলসহ নানা খেলাধুলা। কিন্তু মাঠটিতে প্রায় দেড় বছর ধরে সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে। আমরা দ্রুত এর প্রতিকার চাই।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় অভিভাবকেরা জানায়, মাঠটি বন্ধ থাকায় আমাদের সন্তানেরা খেলাধুলায় আগ্রহ হারিয়ে জড়িয়ে পড়ছে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। বর্তমানে মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে খেলাধুলাই হচ্ছে প্রধান মাধ্যম। এ ছাড়াও শুনছি সরকার দ্রুতই স্কুলগুলো খুলে দেবে। কাজেই শিগগির এর প্রতিকারের দাবি জানাচ্ছি।
প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সেলিম মিয়া বলেন, স্কুলের পাশ দিয়ে যাওয়া গোয়ালন্দ-ফরিদপুর আঞ্চলিক সড়ক সংস্কারের জন্য ঠিকাদার বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী ফেলে রেখেছে স্কুলের মাঠজুড়ে। রাস্তা সংস্কারের নির্ধারিত সময় পার হতে চললেও তাদের কাজও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে বিদ্যালয় খোলার সম্ভাবনাও রয়েছে। এ অবস্থায় ঠিকাদারকে বারবার তাগিদ দেয়া হলেও তিনি নির্মাণসামগ্রী অন্যত্র সরানোর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকৌশলী বজলুল রহমান বলেন, গোয়ালন্দ-ফরিদপুর সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। ভালো মানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। দ্রুত কাজ শেষ না হওয়ায় বিদ্যালয় মাঠের খেলাধুলা বন্ধসহ জনসাধারণের কিছু সমস্যা হচ্ছে। আমি বিষয়টি ঠিকাদারকে বলব।
এমএসআর