আবদুল কাদের মির্জা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, নোয়াখালীতে অপরাজনীতির হোতারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তারা যদি কমিটি দিতে পারে তাহলে আমি কেন কমিটি দিতে পারব না। যেহেতু গত সম্মেলনের কমিটির অনুমোদন আসেনি, সেহেতু গঠনতন্ত্র মোতাবেক আগের কমিটি বহাল থাকবে। আগের কমিটি বহাল থাকলে আমি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। আমি নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে কমিটির সুপারিশ করতেই পারি।

বুধবার (৭ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন। 

মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, কেউ নোয়াখালীর দিকে তাকায় না। সম্মেলনের এক বছর সাত মাস হয়ে গেছে অথচ কমিটির অনুমোদন আসে না। এর কারণে আগের কমিটিও নিষ্ক্রিয় তাই কোনো মিটিং আলোচনা হয় না। দেশে এ সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মতো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না।

কাদের মির্জা আরও বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির বিষয়ে আমার দেওয়া প্রস্তাবনায় ত্রুটি থাকতেই পারে। আপনাদের যদি মন মতো না হয় তাহলে আপনারাও প্রস্তাবনা পাঠান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী যাদের পছন্দ হবে তাদের নিয়ে কমিটি দেবে। এতে আমার কোনো আপত্তি থাকবে না। তবে আমি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন চাই। 

আবদুল কাদের মির্জা আরও বলেন, এই ছেলে (একরামুল করিম চৌধুরী) বলে আমরা রাজাকার পরিবারের সন্তান। সে কীভাবে এ কথা বলতে পারে। আমরা রাজাকার পরিবারের সন্তান কি-না এই তথ্য নেত্রীর কাছে আছে। আবার এই এলাকার জনগণের কাছে আছে।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। ওই পৌরসভায় তৃতীয় মেয়াদে গত ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলে আলোচনায় আসেন তিনি।

হাসিব আল আমিন/ওএফ