মোসলেহ উদ্দিনের সনদ বাতিলে খুশি নরসিংদীবাসী
বঙ্গবন্ধুর খুনি মোসলেহ উদ্দিন
বরখাস্ত রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের মুক্তিযুদ্ধের সনদ বাতিল হওয়াকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নরসিংদীর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। তারা বলছেন, এর মাধ্যমে নরসিংদী কলঙ্কমুক্ত হলো। বঙ্গবন্ধুর বুকে গুলি চালানো রিসালদার কখনোই মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না।
মোসলেহ উদ্দিনের গেজেট বাতিলকৃত সনদের গেজেট নম্বর ৬৪৩। সেই সঙ্গে নরসিংদীর আরও দুজনের সনদ বাতিল করা হয়। তারা হলেন যথাক্রমে নরসিংদী সদরের আবুল ফজল (গেজেট : ৩৭৫২, সনদ-ম-১৮৫১৫), মো. জয়নাল (গেজেট : ৩৭৫৯, সনদ-ম-১৮৫১৪)। বহিষ্কৃত রিসালাদার মোসলেহ উদ্দিনের বাড়ি নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার দত্তেরগাও গ্রামে। অন্য দুজনের জন্ম নরসিংদী সদরে।
বিজ্ঞাপন
বঙ্গবন্ধু যখন গুলির শব্দ শুনে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছিলেন, তখন বঙ্গবন্ধুকে নিজ হাতে গুলি করেন রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন। তারপর জিয়াউর রহমানের আমলে জেদ্দা দূতাবাসের দায়িত্বেও ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে পালিয়ে পাকিস্তান ও পরে জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। সর্বশেষ ভারতের চব্বিশ পরগনা এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মোসলেহ উদ্দিনসহ পাঁচজন পালিয়ে আছেন। যাদের মধ্যে চারজনই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বীরত্বের খেতাব পেয়েছিলেন। বিগত বছরের ১৯ নভেম্বর জামুকার সভায় মোসলেহ উদ্দিনসহ ৫২ জন মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিলের সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের এক সভায় রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনসহ মোট ৫২ জনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করা হয়।
বিজ্ঞাপন
বলা হয়ে থাকে, বঙ্গবন্ধু যখন গুলির শব্দ শুনে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছিলেন, তখন বঙ্গবন্ধুকে নিজ হাতে গুলি করেন রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন। তারপর জিয়াউর রহমানের আমলে জেদ্দা দূতাবাসের দায়িত্বেও ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে পালিয়ে পাকিস্তান ও পরে জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। সর্বশেষ ভারতের চব্বিশ পরগনা এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
গত বছরের এপ্রিলে ভারতীয় পুলিশ কতৃক এই মোসলেহ উদ্দিনকে গ্রেফতারের গুঞ্জন শোনা গেলেও তার স্পষ্টতা পাওয়া যায়নি। ভারতীয় অনেক গণমাধ্যম বলছে, এই মোসলেহ উদ্দিন মারা গেছেন।
সনদ বাতিলের পর অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোতালিব পাঠানের কাছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিজ হাতে গুলি চালানো এই ব্যক্তি কখনোই মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় থাকাকালীন সেনা গেজেটে তার নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। আজকের এই সনদ বাতিলের মাধ্যমে নরসিংদীবাসী কলঙ্কমুক্ত হলো।
এনএ