নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকার হাসেম ফুড কারখানা পরিদর্শন শেষে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক মির্জা আজম বলেছেন, কারা এখানে শিশুশ্রমিকদের কাজ করতে নিয়ে আসল, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। শুনেছি এই ভবনের একটি ফ্লোরে শ্রমিকদের তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। তালাবদ্ধের ঘটনা উদঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার (১১ জুলাই) দুপুর ১২ টার দিকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক মির্জা আজমসহ একটি প্রতিনিধিদল হাসেম ফুড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫২ শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এ সময় মির্জা আজম বলেন, হাসেম ফুড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জন শ্রমিকের এখানে মৃত্যু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনটি তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে গঠন করেছেন। সে কমিটির তদন্ত অনুযায়ী যারা দোষী হবে তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। একই সঙ্গে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, যারা নিহত হয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের জন্য ২ লাখ টাকা ও আহতদের জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর আহত শ্রমিকদের আরও সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য বিভিন্ন আইনানুগ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
 
তিনি আরও বলেন, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকেই অনুমোদন নিয়ে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। এ ক্ষেত্রে যদি কারও দুর্নীতি থাকে তাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। আমি শোকসন্তপ পরিবারের জন্য সমবেদনা জানাই।

প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব, বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন শাহাবুদ্দিন ফরাজী, সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, উপজেলা শাহজাহান ভুঁইয়াসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৯ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে আগুন। তবে এ সময়ের মধ্যে ঝরে গেছে ৫২টি প্রাণ। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।

রাজু আহমেদ/এমএসআর