রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ঢাকাফেরত ঘরমুখী মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে। রোববার (১১ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়ার প্রতিটি ফেরিঘাটে চোখে পড়ার মতো ঘরমুখী মানুষের ভিড় ছিল। সরকারঘোষিত কঠোর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই বিভিন্ন যানবাহনে করে তারা গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন।

এদিকে ৯ জুলাই বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফেরিতে শুধু পণ্যবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি সরকারি যানবাহন পারাপার করা যাবে।

তবে এই নির্দেশনা উপেক্ষা করে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া নৌপথে প্রতিটি ফেরিতে ব্যক্তিগত যানবাহনের সঙ্গে যাত্রী পারাপার হতে দেখা যাচ্ছে। ভোরে ঢাকা গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা যাওয়ার উদ্দেশে রাজধানী ছাড়েন সোহেল মিয়া।

দৌলতদিয়া ঘাটে এসে তিনি পৌঁছান সকাল ৯টার দিকে। ফেরি পার হয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌঁছালে আলাপ হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি। লকডাউনে অফিস বন্ধ আছে। শুধু শুধু ঢাকায় বসে থেকে কী করব? তাই আগেভাগেই গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। রোজার ঈদে পরিবারের সঙ্গে থাকতে পরিনি।

লিটন খান নামে এক যাত্রী বলেন, আমার ঢাকার গাউছিয়া মার্কেটে কাপড়ের দোকান রয়েছে। লকডাউন থাকায় দোকান বন্ধ। আয় না করলে খাব কী? সরকার তো আমাদের কোনো অনুদান দেয় না। পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টের মধ্যে আছি। ঢাকায় বসে না থেকে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি পরিবার নিয়ে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, যানবাহন কম থাকার কারণে ১৬টি ফেরি পর্যায়ক্রমে চালানো হচ্ছে। তবে সার্বক্ষণিক ৭টি ফেরি চলছে। আগামী ঈদের জন্য ফেরিঘাট প্রস্তুত রয়েছে।

ব্যক্তিগত যানবাহন নদী পারাপার হচ্ছে কীভাবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ট্রাকের পাশাপাশি কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি পাস নিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে। তবে পাস ছাড়া কোনো ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার করছি না। তাছাড়া জরুরি কাজ ছাড়া কেউ নদী পার হচ্ছে না। 

মীর সামসুজ্জামান/এমএসআর