আশুলিয়ায় গ্যাসলাইটের জন্য ঘরে ঢুকে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে মো. সাগর (২২) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ধর্ষণকারী সাব্বিরসহ আরও ১ সহায়তাকারী পলাতক রয়েছেন।

সোমবার (১২ জুলাই) রাত ১২টার দিকে বাইপাইল এলাকার শান্তিনগরের সেলিমের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। সাব্বির ঘরে প্রবেশ করলে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে ধর্ষণে সহায়তা করে সাগর।

আটক সাগর শান্তিনগর এলাকার সেলিমের বাড়ির ভাড়াটিয়া। ভুক্তভোগী নারীসহ অভিযুক্ত সাব্বির, সাগর ও আছমা বেগম একই বাড়ির ভাড়াটিয়া। সাব্বির ও সাগরের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে আছমা শান্তিনগর এলাকার মো. সেলিমের স্ত্রী। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১১ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে সাব্বির একই বাসার ভাড়াটিয়া ভুক্তভোগী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর কাছে আগুন জালানোর গ্যাসলাইট চায়। গ্যাসলাইট দেওয়ার জন্য ওই নারী ঘরে প্রবেশ করলে তার সঙ্গে সাব্বিরও প্রবেশ করে এবং কী রান্না করেছেন, তা জানতে চায়।

এ সময় বাইরে থাকা সাগর ঘরের দরজা লাগিয়ে দিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করে সাব্বির। পরে ঘরের ভেতর থেকে সাব্বির বের হওয়ার জন্য শব্দ করলে দরজা খুলে দেয় সাগর। এ সময় ঘর থেকে বের হয়ে তারা পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, তিনি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কাজ থেকে বাসায় ফিরলে তার স্ত্রী সব খুলে বলেন তাকে। পরে স্ত্রীসহ ৩ নম্বর অভিযুক্ত আছমা বেগমকে বিষয়টি জানালে সাব্বির, সাগর ও আছমা একত্র হয়ে খারাপ আচরণ করেন।

বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে রাত ১১টার দিকে তার স্ত্রীসহ তাকে মারধর করে তারা। সাব্বিরের সঙ্গে তার স্ত্রীকে বিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বাসা ছেড়ে যেতে বলেন। পরে থানায় অভিযোগ দিলে সোমবার রাতে সাগরকে আটক করে পুলিশ।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুব্রত জানান, অভিযোগ দায়েরের পরপরই একজন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হবে।

মাহিদুল মাহিদ/এমএসআর