বান্দরবানে শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে এক অ্যাডভোকেট দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে রওশন আরা নামে এক নারী বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলায় বান্দরবান জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট সারাহ সুদীপা ইউনুছ ও তার স্বামী কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অর্গানিয়ার লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ফয়সাল আহমেদকে আসামি করা হয়েছে।

জানা গেছে, মামলার বাদী রওশন আরা সাত মাস আগে শিশু জয়নব আক্তার জোহুরাকে (৯) বনরুপা পাড়ায় উকিল দম্পতির বাসায় গৃহকর্মীর কাজ দেন। কাজে থাকাকালীন বাড়ির গৃহকর্তী সারা সুদীপা ইউনুছ গৃহকর্মী জয়নবকে প্রায় মারধর ও নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে নির্যাতন সইতে না পেরে গত ২০ জুলাই (মঙ্গলবার) সকালে শিশুটি ওই দম্পতির বাসা থেকে পালিয়ে যায়।
 
অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাওয়া গেলে গৃহকর্তা ফয়সাল স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে ওই গৃহকর্মীকে স্থানীয় অভিভাবক রওশন আরার কাছে দিয়ে আসেন। পরে শিশুটির নির্যাতনের একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রওশন আরা অ্যাডভোকেট দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে পুলিশ গৃহকর্মী শিশুটিকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য পাঠায়। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফয়সাল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটি একটি ষড়যন্ত্র। সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার ও আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। মামলার বাদী রওশন আরা নিজেও আমার বাসায় কাজ করত। একবার সে টাকা চুরি করেছিল এবং ধরা পড়েছিল। এরপর থেকে সে মেয়েটিকে আমার বাসা থেকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। আমি মেয়ের অভিভাবককে নিয়ে আসতে বলায় সে আর আসেনি। ২০ জুলাই মেয়েটি পালিয়ে যাওয়ার পর খুঁজে বের করে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ বাচ্ছুর উপস্থিতিতে রওশন আরার জিম্মায় দিয়ে আসি।

বান্দরবান সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ওসি মো. সোহাগ রানা বলেন, এক শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে বান্দরবান সদর থানায় সারা সুদীপা ইউনুস ও তার স্বামী ফয়সাল আহমেদের নামে শিশু আইনে একটি মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে পরর্বতী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রিজভী রাহাত/এমএএস