সরকারি সতীশ চন্দ্র (এসসি) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

গত বছরের মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে না গেলেও অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে নতুন ভর্তির ক্ষেত্রে সরকারি বিদ্যালয়ে দেখা দেয় জটিলতা। এজন্য সরকার অনলাইনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সুনামগঞ্জে অনলাইনে লটারির ফল প্রকাশের পরেই শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা ভিড় করছেন সংশ্লিষ্ট স্কুল ও কম্পিউটারের দোকানে।

এদিকে ফল প্রকাশের পরেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে সুনামগঞ্জের সতীশ চন্দ্র (এসসি) সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এক ছেলের চান্স পাওয়া নিয়ে। সুনামগঞ্জ এসসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ফলাফলের তালিকায় এসেছে এক ছেলের নাম। ওই ছাত্রের নাম লিয়ন রায়। সে পৌর শহরের ষোলোঘরের বাসিন্দা। ষষ্ঠ শ্রেণিতে মর্নিং শিফটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে বলে ফলাফল শিটে লেখা আছে।

ভর্তি রেজাল্ট শিটে লিয়ন রায় (লাল চিহ্নিত)

এসসি স্কুল সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ে মোট ২৪০টি আসন রয়েছে। লটারিতে ছেলের নাম ছাড়াও তালিকায় একই শিক্ষার্থীর নাম একাধিকবার এসেছে। তাদের ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হবে।

শিক্ষার্থী লিয়ন রায়ের বাবা তপন রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনলাইনে আবেদন করার সময় দোকানদার ভুল করে প্রথমে এসসি স্কুলে আবেদন করেছে। পরে আবারও দোকানদারের পরামর্শে জুবিলী স্কুলে আবেদন করা হয়। এখন জুবিলীতে চান্স না হয়ে এসসিতে চান্স হয়েছে।

সতীশ চন্দ্র (এসসি) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজ মাশহুদ চৌধুরী বলেন, কম্পিউটারে আবেদন করার সময় ভুল করে এসসিতে আবেদন করা হয়েছে এবং অনেক শিক্ষার্থী ৩-৪ বার করে আবেদন করেছেন। ফলে তাদের নাম লটারিতে ৩-৪ বার করে এসেছে।

আপনার স্কুলে লিয়ন ও যাদের একাধিক বার নাম এসেছে তাদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্তে যাবেন বলে জানান।

এমএসআর