যাত্রীদের চাপে ফেরিতে ঠাঁই নেই যানবাহনের
রোববার (০১ আগস্ট) থেকে শিল্পকারখানা খোলার ঘোষণায় ভোলার ইলিশা-লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাটে যাত্রীরা ভিড় করেছেন। শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকেই ফেরিতে করে লক্ষ্মীপুর হয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী যাত্রীরা ফেরিঘাটে ভিড় করেন।
সকাল ১০টায় ফেরি কৃষাণী ইলিশা ঘাট থেকে সহস্রাধিক যাত্রী নিয়ে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তবে যাত্রীদের চাপে ফেরিতে কোনো যানবাহন উঠতে পারেনি।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, সকাল থেকেই ফেরিতে করে লক্ষ্মীপুর হয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী যাত্রীরা ফেরির অপেক্ষায় ছিলেন। একপর্যায়ে ঘাটে ফেরি আসার সঙ্গে সঙ্গে তারা প্রশাসনের সকল বাধা উপেক্ষা করে ফেরিতে উঠে পড়েন। সকাল ১০টায় ফেরি কৃষাণী সহস্রাধিক যাত্রী নিয়ে ইলিশাঘাট থেকে ত্যাগ করে। ওই সময় ফেরির অপেক্ষায় আরও কয়েক হাজার যাত্রী ঘাটে অবস্থান করছিলেন। যাদের অধিকাংশই ঢাকা ও চট্টগামের বিভিন্ন গার্মেন্টসে কর্মরত।
বিজ্ঞাপন
ভোলার ইলিশা-লক্ষ্মীপুর ঘাটে জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পারাপারের জন্য তিনটি ফেরি সীমিত আকারে চলাচল করে। এই ফেরিতে যাত্রীরা পার হওয়ায় চেষ্টা করলে ঈদ পরবর্তী লকডাউনের প্রথম দিকে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকলেও এখন তেমন তৎপরতা নেই।
গাজীপুরের গার্মেন্টস শ্রমিক মো. দেলোয়ার বলেন, লকডাউনে গার্মেন্টস বন্ধ। বউ-পোলাইনের লগে বাড়িতে ছিলাম। কালকে অফিস থেকে ফোন দিছে কাজে যোগ দিতে হবে। বাড়ি থেকে একটু আগে আসলে ফেরি পাইতাম। এখন ট্রলার বা স্পিডবোটে নদী পার হতে হবে।
অপর এক গার্মেন্টস শ্রমিক মো. জাফর চট্টগ্রামে যাবেন। তিনি বলেন, সরকার গার্মেন্টস খুইলা দিছে ভালো তার আগে আমরা যে যামু তার ব্যবস্থা করা দরকার আছিল। তাইলে আমাগো এই দুর্গতি হইতো না।
এ বিষয়ে ইলিশা নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল বাদশা জানান, সকাল থেকে ইলিশা ফেরিঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। হাজারো যাত্রীর চাপে পুলিশ প্রশাসন একপর্যায়ে নিরুপায় হয়ে তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিআইডব্লিউটিসির ইলিশা ফেরিঘাটের ম্যানেজার মো. পারভেজ খানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আরএআর