গ্রেফতার আল আমিন সরকার

পুলিশের সঙ্গেই চলছিল প্রতারণা। তাও আবার ২০১৫ সাল থেকে। কথায় আছে, ‘চোরের দশদিন গৃহস্থের একদিন’। শেষে পুলিশের জালেই আটকা পড়লেন আল আমিন সরকার (৩৭) নামের ওই প্রতারক।

গতকাল শুক্রবার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাতে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার চাঁদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

আল আমিন সরকার ওই এলাকার আপেল মাহমুদ সরকারের ছেলে। জেলার মোহনপুর থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুরের পর তাকে আদালতের মাধ্যকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ বলছে, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সংস্থাপন শাখার পরিদর্শক পরিচয়ে পার্বত্য জেলায় বদলির ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি। প্রতারণাকে পেশা হিসেবেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি।

জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সংস্থাপন শাখার পরিদর্শক পরিচয়ে গত ১০ জুলাই আল আমিন সরকার রাজশাহীর এক পুলিশ সদস্যকে ফোন দেন। তাকে পার্বত্য জেলার বদলির ভয় দেখিয়ে সেটি ঠেকাতে অর্থ দাবি করেন। 

ফোন পেয়ে ওই পুলিশ সদস্য জেলা পুলিশের আরওআই নিরঞ্জন ঘোষকে জানান। আরওআই বিষয়টি জানান জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনকে বিপিএম (বার)।

পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ডিএসবি) সনাতন চক্রবর্তীকে বিষয়টি উদ্ঘাটনের নির্দেশনা দেন পুলিশ সুপার। টানা ২০ দিনের প্রচেষ্টায় প্রতারক আল আমিন সরকারকে ধরে পুলিশ। 

ইফতেখায়ের আলম আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন প্রতারণার দায় স্বীকার করেছেন। পুলিশ সদর দফতরের সংস্থাপন শাখার পরিদর্শক সালাম ও মিজানের পরিচয়ে বিভিন্ন সময় তিনি পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতেন। 

পার্বত্য জেলায় বা দূরবর্তী রেঞ্জে বদলির নমিনেশন দেওয়া হয়েছে জানিয়েছে তা ঠেকাতে টাকা দাবি করতেন এ প্রতারক। ২০১৫ সাল থেকে তিনি এ কৌশলে প্রতারণা চালিয়ে আসছেন। 

তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের অগণিত সদস্য। হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। পরে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশের মুখপাত্র।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএএস