আহত পাখিদের অ্যাম্বুলেন্সে করে নেওয়া হলো হাসপাতালে!
মানুষ অসুস্থ বা আহত হলে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয় এটা সচরাচর আমরা সবাই জানি। কিন্তু পাখি অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয় এমন ঘটনা খুব একটা চোখে না পড়লেও এমনই ঘটনা ঘটেছে নাটোরের সিংড়ায়।
পাখি শিকারির কাছ থেকে উদ্ধারকৃত ৫টি পাতি সরালির (বালিহাঁস) ছানা ও আহত হলুদ (সোনাবউ) পাখি নিয়ে হাসপাতালে গেলেন সিংড়ার পরিবেশ কর্মীরা।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে পৌরসভার চলো অ্যাম্বুলেন্সে করে পাখিদের নিয়ে পশু হাসপাতালে পৌঁছান চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সদস্যরা।
হাসপাতলে পৌঁছালে তাৎক্ষণিক আহত পাখি ও ছানাগুলোর চিকিৎসা দেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এসএম খুরসিদ আলম। এমন দৃশ্য দেখে পৌর এলাকায় বেশ হইচই পড়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, গতকাল শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের গোয়াল বাতান গ্রামে পাখি কেনা-বেঁচা হয়েছে খবর পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরে পাখি উদ্ধারে সিংড়া পৌরসভার পারসিংড়া (বেদেপল্লী), সরকারপাড়া, ও শোলাকুড়া এলাকায় বৃষ্টিতে ভিজে ৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয় পরিবেশকর্মীরা।
পরে রাত ৮টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পারসিংড়া (বেদেপল্লী) থেকে ৫টি পাতি সরালি (বালিহাঁস) ছানা উদ্ধার করা হয়। ততক্ষণে মা পাখিটিকে জবাই করেছে পাখি খাদক জনৈক পিয়ারুল এবং চটের বস্তায় লুকিয়ে রাখায় ২টি পাতি সরালি ছানার মৃত্যু হয়েছে। পাখির সঙ্গে এমন নিষ্ঠুরতা দেখে উপস্থিত সকলের চোখে জল এসে যায়। পরে উদ্ধারকৃত মা-বিহীন অবুঝ ছানাগুলোর জীবন বাঁচাতে পরিবেশকর্মী হাসান ইমামের কাছে দেয়া হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এসএম খুরসিদ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আহত পাখিটিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আর ছানাগুলোকে বাঁচাতে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তাপস কুমার/এমএএস