স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক বলেছেন, দেড় বছর ধরে করোনার প্রাদুর্ভাব চলছে। এ সময়ের মধ্যে আমরা ১শটি সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করেছি। ৬৫০টি ল্যাবে ৫০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ১৬ হাজার করোনা বেড স্থাপন করা হয়েছে। একই হাসপাতালে সাধারণ রোগী, করোনা ও ডেঙ্গু রোগীদের আলাদাভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার (০২ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে নবনির্মিত শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ সেবার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আউটডোরের পাশাপাশি ইনডোরে করোনা রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। 

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমকে স্মরণ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মোহাম্মদ নাসিম শুধু জাতীয় নেতা ছিলেন না, তিনি আমার বড় ভাইয়ের মতো ছিলেন। আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছেন। তার হাতে গড়া এ প্রতিষ্ঠানটিতে মানুষ যাতে সঠিক চিকিৎসা পায় সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করব। আমরা মানিকগঞ্জের আগে সিরাজগঞ্জের এই হাসপাতালটির কাজ পূর্ণাঙ্গভাবে শেষ করব। 

সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নার সভাপতিত্বে ও লাইন ডিরেক্টর ডা. সামিউল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সচিবালয় থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন সিনিয়র সচিব (স্বাস্থ্যসেবা) লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, অতিরিক্ত সচিব সাইদুর রহমান ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবিএম খোরশেদ আলম। এছাড়া সিরাজগঞ্জ প্রান্তে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য, শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আমিরুল হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ৮৮২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০.৯০ একর জায়গার উপর শহরের পাশেই শিয়ালকোল এলাকায় শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও ৫শ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণকাজ শুরু হয়। হাসপাতালটি আগামী ডিসেম্বরে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এক বছর আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম।

শুভ কুমার ঘোষ/আরএআর