কন্যাসন্তানের উপহার পেয়ে খুশি এক মা

‘কন্যাসন্তান বোঝা নয় আশীর্বাদ, কন্যাসন্তান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ পুরস্কার। কন্যাসন্তান মা-বাবার জন্য জান্নাতের সুসংবাদ নিয়ে দুনিয়ায় আগমন করে। কন্যাসন্তান জন্ম হলে ফোন করুন, উপহার পৌঁছে যাবে সঙ্গে সঙ্গে।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের ফেসবুক পেজে বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) রাতে এমন একটি পোস্ট দেওয়া হয়। বিষয়টি সচেতন মহলের দৃষ্টিগোচর হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসায় ভাসছেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম।

‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ এই স্লোগান সামনে রেখে মুজিববর্ষ স্মরণীয় করে রাখতে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।

পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের নির্দেশে নবজাতক কন্যা পেল উপহার

এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর ৩টার দিকে জেলা পুলিশের উদ্যেগে সদ্যভূমিষ্ঠ ১০ শিশুকন্যার জন্য নতুন পোশাক ও ফুল উপহার দিয়েছে। 

বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার কুষোডাঙ্গা গ্রামের সুজন আলীর স্ত্রী তাসলিমা খাতুনের একটি কন্যাসন্তান ভূমিষ্ঠ হলে স্বজনরা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে জানায়। এর কিছুক্ষণ পর চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের নির্দেশে ‘নিউবোর্ন বেবি প্যাকেজ, পোশাক ও ফুলের তোড়া’ তাদের বাসায় পৌঁছে যায়। নবজাতক কন্যাশিশুটির পরিবারের লোকজন বিষয়টি দেখে আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে যায়।

সদ্যভূমিষ্ঠ কন্যাসন্তানের পরিবারের কাছে জেলা পুলিশের উপহারসামগ্রী

এ ছাড়াও বাকি নয়টি সদ্যভূমিষ্ঠ কন্যাসন্তানের পরিবারের কাছে উপহারসামগ্রী নিয়ে তাদের বাসায় উপস্থিত হন জেলা পুলিশ। পুলিশের এই ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ডের প্রশংসা এখন স্থানীয় জনসাধারণের মুখে মুখে। কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ার কারণে সংসারে কলহ সৃষ্টি ও পারিবারিক অসন্তোষ দেখা যায়। পুলিশ সুপারের এই উদ্যোগ হতে পারে সমাজের ওই সব পরিবারের জন্য ইতিবাচক বার্তা।

পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক নারী। এই বিপুল সংখ্যাক নারী পিছিয়ে থাকলে সামগ্রিক উন্নয়ন অসম্ভব। তিনি চুয়াডাঙ্গার সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ এবং লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে সহযোগিতা কামনা করেন।

এমএসআর