ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফরিদপুরের ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জিহাদুল ইসলাম (২৮) নামে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে ওই নেতা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ডিভিশনের (সিটিটিসি) কাছে চার দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
গত মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় জিহাদুলকে। পরের দিন বুধবার (১৮ আগস্ট) ঢাকার সিএমএম আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিজ্ঞাপন
জিহাদুল ইসলাম ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের সোতাশী মহল্লার বাসিন্দা। তিনি ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।
জানা যায়, ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মো. আবুল হাসানকে নিয়ে ‘রহিমা সুলতানা’ নামে ফেসবুক আইডি থেকে দীর্ঘদিন ধরে মানহানিকর ও অপপ্রচারমূলক নানা পোস্ট দেওয়া হচ্ছিল। আবুল হাসান বোয়ালমারী পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের আমগ্রামের বাসিন্দা।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় আবুল হাসান বাদী হয়ে ডিএমপির কোতোয়ালি থানায় চলতি বছরের ২০ জুন একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে ১৮ জুলাই তিনি একই থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ডিভিশনের (সিটিটিসি) ঢাকা সিটির সাইবার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন একটি দল ১৭ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার নয়ানগর এলাকার ১৭ নম্বর বাসা থেকে জিহাদুলকে গ্রেফতার করে।
মামলার বাদী আবুল হাসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কী কারণে জিহাদুল তার ও পরিবারের নামে ফেসবুকে বিভিন্ন বাজে পোস্ট দিয়ে আসছিল, তা তার বোধগম্য নয়। আমি কোনো উপায় না পেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাইবার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন দলের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ফেসবুকে ‘রহিমা সুলতানা’ নামের ভুয়া আইডিটি জিহাদুল পরিচালনা করতেন। তাকে গ্রেফতারের সময় তার মোবাইল ফোনে ওই ভুয়া আইডিটি লগইন অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় আসামির ব্যক্তিগত ওই ফোন ও একটি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।
এমএসআর