দিনাজপুরের বীরগঞ্জে পুলিশের থানা ভবন থাকলেও নেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার কোয়ার্টার। পরিত্যক্ত ঘরে সাপ ও পোকামাকড়ের ঝুঁকিতে থাকছেন ওসি, এসআই ও নারী সদস্যরা।

দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের এই অবস্থা চললেও সরকারিভাবে কোয়ার্টার নির্মাণে নেই কোনো উদ্যোগ। যে কারণে থানা পুলিশের সদস্যদের বিভিন্ন ভাড়া বাসায় থাকতে হচ্ছে।

থানার স্টাফ কোয়ার্টারগুলো ৫০ বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বহুবার জানানোর পরও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

দিনাজপুর বীরগঞ্জ উপজেলার আইনশৃঙ্খলা সহায়তা করার লক্ষ্যে ১৮৯০ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে পৌর শহরের বীরগঞ্জ থানা ভবন ও ৭টি স্টাফ কোয়ার্টার কাঁচা ইট কাদা-মাটি ও চুন-সুরকি দ্বারা নির্মাণ করা হয়।

১৯৭০ সালে জনপথ ও ইমারত বিভাগের প্রকৌশলীরা বাসভবনগুলো বসবাসের অনুপযোগী মনে করে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে এবং স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকারের আমলেও পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে।

দীর্ঘদিন পর ২০০১ সালে থানা ভবন ও সহকারী পুলিশ সুপারের অফিস ও বাসভবন নির্মাণ করা হলেও অদ্যাবধি অফিসার ইনর্চাজ কোয়ার্টার, এসআই কোয়ার্টার, এএসআই কোয়ার্টারগুলো নির্মাণ করা হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, থানা ক্যাম্পাসের জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত টিনশেড কোয়ার্টারের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরা ও বাসার ছাদে পলিথিন, ত্রিপল দিয়ে বৃষ্টির পানি আটক করে বসবাস করছে পুলিশ কর্মকর্তাদের পরিবার।

এ সময় বসবাসরত পুলিশ পরিবারের এক সদস্য বলেন, থানা ক্যাম্পাসের পরিত্যক্ত বাসাগুলোয় সার্বক্ষণিক দুর্ঘটনার আশঙ্কা ও বিষাক্ত পোকামাকড়ের আতঙ্কে পরিবার নিয়ে আমাদের বসবাস করতে হচ্ছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় কিছু পুলিশ অফিসার পরিবার নিয়ে বাইরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে।

বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মতিন প্রধান বলেন, এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। 

এনএ