‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাঁচিয়ে রাখার জন্য সচেতন থাকতে হবে’
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ
স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, ১৫ ও ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা। একাত্তরের পরাজিত শত্রুদের অনুগত দোসররা ওই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। বর্তমান প্রজন্ম অনেক সুশিক্ষিত, তারা বঙ্গবন্ধুকে দেখেনি কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে তারা অনুভব করতে পারেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সুনামগঞ্জের রাজাপুর এসেছিলেন ১৯৭০ সালের ৯ অক্টোবর। তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান মহারাজ মিয়ার এই বাড়িতে নোঙর করে বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী লঞ্চ তিতাস। সে দিন ছিল শুক্রবার। পার্শ্ববর্তী মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন বঙ্গবন্ধু। বাংলোতে বিশ্রাম নেন ও দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন
স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বলেন, এরপর এখানে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেন। দুর্গম হাওর এলাকায় বঙ্গবন্ধুর এই আগমন এলাকাবাসীকে অনুপ্রাণিত করে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধরে রাখতে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধনের মাধ্যমে ইতিহাস সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
হাওরের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে বঙ্গবন্ধুর সেই সফরকে স্মরণীয় করতে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে দুর্গম হাওরে বঙ্গবন্ধু শিরোনাম অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রধান বক্তার বক্তব্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেন, দেশের মানুষকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করার লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘাতকরা হত্যার চেষ্টা চালিয়ে ছিল। কিন্তু আল্লাহর অশেষ মহিমায় ও নেতাকর্মীদের মানবদেয়ালের ফলে ২০০৪ সালের ভয়াবহ ২১ আগস্টে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে তারা হত্যা করতে পারেনি।
বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, উপ-পানিবিষয়ক সম্পাদক জামিল আহমদ, কার্যনির্বাহী সদস্য কামাল উদ্দিন, ধর্মপাশা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিস প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তারা।
এমএসআর