গাইবান্ধায় মানসিক ভারসাম্যহীন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা অসহায় ও কর্মহীন সেলিম (২৫) নামে এক যুবককে দোকানঘর ও নগদ অর্থ উপহার দিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) গাইবান্ধা জেলা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের নশরতপুরে গণ উন্নয়ন কেন্দ্র অফিস সংলগ্ন সেলিমের বাড়ির সামনে এ দোকানঘর হস্তান্তর করে।

এ সময় ফিতা কেটে ‘সদাইপাতি’ নামে মালামালসহ দোকানঘর উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। সেই সঙ্গে সেলিমকে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।

দোকানঘর হস্তান্তরকালে উপস্থিত ছিলেন- সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, গাইবান্ধা ট্রাফিক ইনচার্জ নূর আলম সিদ্দিক, ট্রাফিক সার্জেন্ট তৌহিদুল ইসলাম, টিএসআই রেজা, স্থানীয় ইউপি সদস্য ছাবেদ আলীসহ সাংবাদিকরা।

মালামালসহ নতুন দোকান পেয়ে সেলিম মিয়া বলেন, পুলিশ সুপারের কাছে আমি চিরঋণী। চিকিৎসার জন্য পুলিশ সুপার আমাকে পাবনা পাঠিয়েছিলেন। এখন আমি সুস্থ হয়েছি। অনেক টাকা খরচ করে মালামালসহ আমাকে দোকান ঘর করে দিয়েছেন। পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানাই।

পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জেলা পুলিশ তাদের সরকারি কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন মানবিক কাজ করে থাকে এবং তা অব্যাহত আছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে সেলিমকে এ সহযোগিতা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত বছরের ৮ জুন বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি, শিকলে বাঁধা মানসিক প্রতিবন্ধী সেলিমের কথা। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, অর্থের অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না তার। পরে ১৫ জুন জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। পরে সেখানে চার মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে সেলিম। তিনি যাতে ভালোভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন এজন্য মালামালসহ মুদি দোকান উপহার ও নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হলো।

এসএসএইচ