সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে শিমুল বাগান দেখতে যাওয়ার পথে প্রেমিকের মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে জেসমিন আক্তার (৩০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রেমিক জোবাইদ মিয়াকে (৩৪) আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নেত্রকোনার কেন্দুয়া-আঠারবাড়ি সড়কের কমলপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জেসমিন আক্তার কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার মানিকদী গ্রামের মৃত মাহফুজ মিয়ার স্ত্রী। জেসমিন চার সন্তানের জননী বলে জানা গেছে। প্রেমিক জোবাইদ মিয়া একই উপজেলার টানকৃঞ্চনগর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তারও তিন সন্তান রয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে কেন্দুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জুবাঈদ মিয়াকে থানায় রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে নিহত জেসমিনের পরিবারের লোকজন থানায় এসেছে। তারা অভিযোগ লিখছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জোবাইদ মিয়ার বরাত দিয়ে ওসি বলেন, জেসমিনের এক ফুফুর বাড়ি জোবাইদের বাড়ির পাশে থাকার সুবাদে কিশোর বয়সে চেনাজানা থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক সময় পারিবারিক সম্মতিতে জেসমিনের বিয়ে হয় মাহফুজ নামে একজনের সঙ্গে। তাদের সংসারে তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মাহফুজ ও জোবাইদ ভৈরব বাজারে একই মার্কেটে জুতার ব্যবসা করতেন। জোবাইদও অন্যত্র বিয়ে করেছেন। তার সংসারেও তিন সন্তান রয়েছে। 

সম্প্রতি মাহফুজ এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে তাদের পুরোনো প্রেমের সম্পর্ক আবারও গভীর হয়ে ওঠে। সোমবার তারা মোটরসাইকেলে ভৈরব থেকে সুনামগঞ্জের তাহেরপুরে শিমুল বাগান দেখতে যাচ্ছিল। পথে কেন্দুয়া-আঠারবাড়ি সড়কের কমলপুর এলাকায় একটি ব্রিজে উঠার সময় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয় জেসমিন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জিয়াউর রহমান/এসপি