নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও একজনের মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কারখানার চতুর্থ তলার স্তুপ থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়। যা নিহত এক শ্রমিকের বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

মাথার খুলি ও হাড় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে পরবর্তীতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সেগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হারুনুর রশীদ জানান, সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো ওই কারখানায় তল্লাশি চালানো হয়। পরে স্তুপ থেকে বিকেলে একজনের মাথার খুলি ও দেহাবশেষ পাওয়া যায়। অগ্নিকাণ্ডের পর লাবনী, সাজ্জাত ও মহিউদ্দিন নামে আরও তিন শ্রমিক নিখোঁজের আবেদন পেয়ে সিআইডি এ তল্লাশি শুরু করেছে।  

এর আগে গত মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কারখানার চতুর্থ তলা থেকে একইভাবে তল্লাশি চালিয়ে দুটি মাথার খুলি, হাড় ও চুল উদ্ধার করেন সিআইডি এবং ডেমরা ও কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। 

প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডের পর ভবন থেকে লাফিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। সেই সঙ্গে দগ্ধ ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। মরদেহগুলো এতটাই পুড়ে যায় যে সেগুলো দেখে চেনা বা শনাক্ত করার উপায় ছিল না। পরে ডিএনএ টেস্ট করে মরদেহ শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় সব মিলিয়ে ৫২ জনের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে কারখানার মালিক আবুল হাসেম ও তার চার ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে। মামলার পর পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে চারদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরবর্তীতে আদালত থেকে তারা জামিন পান। 

মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া/আরএআর