সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে আটকে থাকা গাড়ি

ঘন কুয়াশা, সড়ক উন্নয়নের কাজ ও বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজার একটি ওজন স্টেশন বন্ধ থাকায় সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে যানজট ভোগান্তি চরমে পৌঁছে যাচ্ছে। এটি এখন যেন রুটিনে পরিণত হতে যাচ্ছে। গত দুদিন থেকে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত তীব্র যানজট ও মাঝে মাঝে থেমে থেমে গাড়ি চলায় চরম ভোগান্তিতে পরেছেন যাত্রীরা। সেই সঙ্গে বিরক্ত বাসট্রাকসহ যানবহনের স্টাফরাও।

সরেজমিনে বুধবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতুর বিপরীত মুখী যানবাহন থেমে থেমে চললেও ঢাকা তথা বঙ্গবন্ধু সেতুগামী যানবাহন দাঁড়িয়ে রয়েছে। এতে নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরেও পৌঁছানো যাচ্ছে না গন্তব্যে। সেই সঙ্গে ভোগান্তিও যেন পৌঁছে গিয়েছে চরমে।

সিরাজগঞ্জ থেকে রাজশাহীগামী আনন্দ পরিবহনের চালক সেলিম আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সিরাজগঞ্জ থেকে রাজশাহীগামী একটি বাসও যেতে পারেনি। সিরাজগঞ্জ থেকে যাত্রী নিয়ে বের হয়ে আসলেও নলকা মোড়ে এসে আর ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে উঠতে পারিনি। পরে তীব্র যানজট দেখে সবগুলো গাড়িই আবার ফিরে আসি।

এ বিষয়ে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রফিক বলেন, ঘন কুয়াশা ও মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজের কারণে গাড়ি স্বাভাবিক গতিতে যেতে পারছেন না। এ ছাড়াও রায়গঞ্জ উপজেলার ঘুড়কা বেলতলা এলাকায় একটি ব্রিজে যেকোনো একপাশ দিয়ে গাড়ি চলতে হচ্ছে। একপাশ বন্ধ করে আরেক পাশের গাড়ি ছাড়তে হচ্ছে, যার কারণে কিছুটা যানজট হচ্ছে এবং থেমে থেমে গাড়ি চলছে। তবে আমরা মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুক্তার হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশা, রাস্তার উন্নয়ন কাজ ও বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজার ওজন স্টেশন একটি বন্ধ থাকার কারণেই মূলত যানজট হচ্ছে। তবে আমরা সারারাত ধরেই যানজট নিরসনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

এমএসআর