সহিদুর রহমান খান মুক্তি

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন ১৪ বারের মত নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এই মামলায় কারাগারে থাকা সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন করলে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাসুদ পারভেজ তা নামঞ্জুর করেন। 

এর আগে গত ১৮ আগস্ট জেলা কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সহিদুর রহমান খান মুক্তি সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ভাই ও টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খানের ছেলে।

জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি অভিযুক্ত হওয়ার পর দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকেন। এরপর গত বছরের ২ ডিসেম্বর তিনি টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। তারপর থেকে তিনি টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছেন।

টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি এস আকবর খান জানান, টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সহিদুর রহমান খান মুক্তির আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। এ সময় তারা যে কোনো শর্তে জামিন প্রার্থনা করেন। পরে আদালত শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্ট গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে। 

আদালতে তাদের দেওয়া স্বাীকারোক্তিতে এই হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। এরপর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান। রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় তিন বছর কারাভোগের পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। তাদের অন্য দুই ভাই এখনও পলাতক।

অভিজিৎ ঘোষ/আরএআর