পাবনার সাঁথিয়ায় নাজমা বেগম (৪০) নামে এক নারীর দুই বিঘা জমির পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এতে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। নাজমা সাঁথিয়া পৌরসভাধীন ৮নং ওয়ার্ডের নওয়ানী গ্রামের রুহুল আমিনের স্ত্রী। 

গতকাল বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সাঁথিয়া থানায় নাজমা বেগম বাদী হয়ে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

নাজমা বেগম বলেন, সপ্তাহ খানেক আগে আমার পার্শ্ববর্তী এলাকায় জুয়া খেলার অপরাধে কয়েকজনকে পুলিশ আটক করে। তারা মনে করেছে, পুলিশকে আমি খবর দিয়েছি। কারাগার থেকে বের হয়ে এসে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় তারা। 

তিনি বলেন, বসতবাড়ির পাশেই পুকুর হওয়ায় আমি প্রতি রাতেই জানালা খুলে দেখি কেউ কোনো ক্ষতি করে কি না। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুকুরের পানির শব্দ পেয়ে জানালা খুলতেই দেখি এলাকার লিটন, শাহীন, নুর আলম, শফিকুল ও মঞ্জু পুকুরের আশপাশে ঘুরছে। কিন্তু আমি ভয়ে তাদের মুখোমুখি হইনি। তখনই আমার সন্দেহ হয়। সেই সন্দেহ নিয়েই আমি ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি গোটা পুকুরে মরা মাছ ভেসে উঠে সাদা হয়ে আছে। এতে আমার প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

সাঁথিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. স্বপন হোসেন বলেন, কিছু দুষ্কৃতকারী এই নারীর মাছের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে সর্বনাশ করেছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো ঘটনা নয়। অপরাধী যেই হোক তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তিনি।

সাঁথিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলার বিষয়ে একজন নারী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশের ফোর্স পাঠিয়েছিলাম। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। শক্রতার কারণে এমন কাজ করা সঠিক হয়নি বলে জানান তিনি।

রাকিব হাসনাত/এমএএস/জেএস