নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভায় আটক রেখে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম স্বপনকে (৫৯) নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের সমাপনী দিনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিচার চায় বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। 

কিন্তু বসুরহাট পৌরসভা থেকে জাপা নেতা মো. সাইফুল ইসলাম স্বপনের হেঁটে বের হওয়ার সিসি ক্যামেরার একটি ভিডিও ফুটেজ বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা পোস্টের হাতে আসে।

১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন হেঁটে পৌরসভা থেকে বের হচ্ছেন। এরপর সঙ্গে থাকা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাসহ নিচে নেমে মোটরসাইকেলে করে পৌরসভা চত্ত্বর ত্যাগ করেন। 

এ বিষয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল লতিফ মুন্সী।

এসময় তিনি বলেন, উপজেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম স্বপনকে মারধরের ঘটনা সত্য নয়। মেয়র আবদুল কাদের মির্জা আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। যে বা যারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মান ক্ষুণ্ণ হতে পারে। কোম্পানীগঞ্জ জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এ জাতীয় ভুল তথ্যভিত্তিক প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে এ জাতীয় সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিক সতর্কতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

সংসদে বিচার চাওয়ার বিষয়ে কাদের মির্জা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাকে তো মওদুদ আহমেদ ২০০১ সালে জয়নাল হাজারী- শামীম ওসমানদের সঙ্গে গডফাদার উপাধি দিয়েছিল। সেদিন জাতীয় পত্রিকার শিরোনাম হয়েছিলো শামীম ওসমান-জয়নাল হাজারী- আবদুল কাদের মির্জা একসঙ্গে। সেদিনও মওদুদ আহমেদ আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগের কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি। আজকের দিনেও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্যে আমাকে সন্ত্রাসী বলা কেউই এরকম অসত্যকে সত্য বলে প্রমাণ করতে পারবেন না।

কাদের মির্জা আরও বলেন, জাতীয় পার্টির স্বপনকে আমাদের কোন লোক ধরে আনেনি। আমি তার সঙ্গে কথা বলতে তাকে খবর দিলে সে নিজে পৌরসভায় এসেছে।  সে পৌরসভায় এসে স্বাভাবিকভাবে কথা বলে গেছে। আমার পৌরসভার স্টাফরা যথারীতি তাকে চা নাস্তাও দেয় এবং চা নাস্তা খেয়ে পৌরসভা থেকে স্বশরীরে নিজে হেঁটে নিজ গন্তব্যে চলে যায়। তখন তার সঙ্গে তাদের জাতীয় পার্টির উপজেলা সভাপতি, পৌরসভা সভাপতি ও উপজেলা সহ-সভাপতিও ছিল।

কাদের মির্জা আরও বলেন, অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে অনেকের শত্রু হয়ে গেছি। ষড়যন্ত্র আজ মহান জাতীয় সংসদে পৌঁছে গেছে। আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অর্থের বিনিময়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যদের দিয়ে বক্তব্য প্রচার করানোর নিন্দা জানাচ্ছি। 

প্রসঙ্গত, গত ৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভায় আটক রেখে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম স্বপনকে (৫৯) নির্যাতনের অভিযোগ উঠে।

হাসিব আল আমিন/এমএএস