কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের লম্বাশিয়া ক্যাম্পে এশার নামাজ শেষ করে নিজ অফিসে আসেন শীর্ষ পাঁচ রোহিঙ্গা নেতার একজন মাস্টার মুহিবুল্লাহ। কিছুক্ষণ পর সেই অফিসে প্রবেশ করে ২০ জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ, যারা ছিল ভারী অস্ত্রে সজ্জিত। অফিসে উপস্থিত মুহিবুল্লাহর সঙ্গীদের মারধর করলেও তার বুকে সরাসরি গুলি চালায় মাস্টার আব্দুর রহিম নামে এক সন্ত্রাসী। সেই গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে মরদেহ নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আসার পর ঘটনাস্থলে থাকা মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বর্ণনা দিয়ে এসব কথা বলেন।

তার মতে, সশস্ত্র গ্রুপটিতে মাস্টার আব্দুর রহিম ছাড়াও ছিলেন মুর্শিদ, লালুর নেতৃত্বাধীন ২০ জনের সশস্ত্র গ্রুপ। তাদের তিনি আল ইয়াকিনের সদস্য বলে দাবি করেন।

নিজেদের জীবন হুমকিতে পড়েছে দাবি করে হাবিবুল্লাহ আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ে আমার ভাই দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। আন্তর্জাতিক মহলেও তার তৎপরতা রয়েছে। হয়ত সেই যাত্রা বাঁধাগ্রস্ত করতে এ হামলা এবং তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ঘাতকদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।

এর আগে উখিয়ার কুতুপালং ১নং ক্যাম্পের ডি-ব্লকে এশার নামাজের পর নিজ অফিসে অবস্থানকালে অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীরা পাঁচ রাউন্ড গুলি করে। তিন রাউন্ড গুলি বুকে লাগলে মুহিবুল্লাহর মৃত্যু হয়।

নিহত মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের মধ্যে জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলার জন্য তিনি জাতিসংঘে গিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছিলেন। রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে তিনি সবসময় বিদেশি বিভিন্ন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে আসছিলেন। তার মৃত্যুতে লোকজনের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

মুহিব/এসএসএইচ