কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণিপড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার নরেশ চন্দ্র (৫৫) নামের একজনের বিরুদ্ধে। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ৭০ হাজার টাকায় দফারফা করে ধর্ষককে ছেড়ে দেন সালিশকারীরা।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঘটনাটির খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নজরে আসে। তখন জানা যায় মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, পরিবারের সদস্যরা ওই শিশুকে বাড়িতে রেখে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে কোভিড-১৯-এর প্রথম ডোজের টিকা নিতে যান। এই ফাঁকে প্রতিবেশী নরেশ চন্দ্র শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের বাড়ির লোকজন ছুটে এসে নরেশ চন্দ্রকে আটক করে।

পরে স্থানীয় কিছু দালাল শ্রেণির লোকজন ভুক্তভোগীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানো শুরু করে। মামলা না করার জন্য চাপ দিতে থাকে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের নেতৃত্বে সালিস বসে স্থানীয় মাতবররাসহ। এ সময় অভিযুক্ত ধর্ষক নরেশ চন্দ্রকে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয় তারা।

ভুক্তভোগী শিশুর চাচা আমিন জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবু মন্ডল ও এলাকাবাসী গ্রাম্য সালিশ বসিয়ে ৭০ হাজার টাকায় ঘটনাটি দফারফা করে দেন। তবে ভুক্তভোগীর পরিবারকে কোনো টাকা দেয়নি বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবু মন্ডলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু সরকার ঢাকা পোস্টকে জানান, এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো. জুয়েল রানা/এনএ