বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে শোক র‍্যালি করেছে তার গ্রামের বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সকালে আবরারের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গায় এ কর্মসূচি পালিত হয়। 

র‍্যালি শেষে আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করা হয়। এ সময় আবরারের দাদা আব্দুল গফুর বিশ্বাস, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। 

স্থানীয়রা বলছেন, আবরার হত্যাকাণ্ডের দুই বছর অতিবাহিত হয়ে গেল। শুরুতে ব্যাপক আন্দোলনের মুখে আসামিদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচারের কথা বলা হলেও বিচারে তেমন অগ্রগতি হয়নি। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা ও সাম্প্রতিক ঘটনায় তারা উদ্বিগ্ন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা। 

আবরারের দাদা আব্দুল গফুর বিশ্বাস বলেন, আমার বয়স ৯০ বছর। মৃত্যুর আগে আমি আমার নাতি আবরারের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর দেখে যেতে চাই। প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতিসহ সবাই বলেছেন আবরার হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দেওয়া হবে। কিন্তু দীর্ঘ দুই বছর হয়ে গেলেও এখনো বিচার কাজ শেষ হয়নি। মরার আগে অন্তত নাতি হত্যার বিচার দেখে যেতে চাই।

এদিকে আবরার ফাহাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দুপুরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।

২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ-ভারতের চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। এর জের ধরে ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

রাজু আহমেদ/আরএআর/জেএস