বান্দরবানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে গড়ে উঠছে নতুন নতুন স্থাপনা। এতে সড়ক সংকীর্ণ হয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।

বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, কোনো সড়ক বা মহাসড়কের ৬০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু সে আইন মানা হচ্ছে না। বান্দরবান-রাঙামাটি-চন্দ্রঘোনা সড়কের পৌরসভার সেগুনবাগিচা এলাকায় সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গায় ২০টির বেশি অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে।

স্থানীয় টমটম চালক নুরুল ইসলাম জানান, রাস্তার কয়েক ফুটসহ জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। এতে অনেক স্থানে সড়ক সংকীর্ণ হয়ে গেছে। প্রায়ই মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাস্তার দু’পাশ দখলমুক্ত থাকলে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেগুনবাগিচা এলাকায় সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে হোটেল-রেস্তোরাঁ, গ্যারেজসহ নানা ধরনের দোকান। শুধু সড়কের পাশে নয়, দখল হয়েছে মূল রাস্তার তিন ফুট পর্যন্ত। এতে চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে।

জানা গেছে, এসব দোকানের সামনে পার্ক করে রাখা মোটরসাইকেল, অটোবাইকের লম্বা লাইনের কারণে যানবাহন ও মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শিশু পার্কে যাওয়ার সময় অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

গ্যারেজ ও হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিকসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, সরকারি জমি পড়ে থাকে। এ কারণে দোকানপাট তৈরি করা হয়েছে। এসব অবৈধ দোকান নিয়ে সওজের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। তবে কর্তৃপক্ষ না চাইলে তারা দোকান তুলে নেবেন বলে জানান।

বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ্ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, সড়কের রাস্তা দখলের কথা আমরা শুনেছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

রিজভী রাহাত/এসপি