‘আমার সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা যাওয়ার দরকার নেই’
শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, মারা গেলে মন্ত্রী হিসেবে আমার কবরের জমি কেউ পাঁচ হাত করে দিতে পারবেন না। সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরই বরাদ্দ থাকবে। সুতরাং আমি হারাম কিছু চাই না, হারাম কিছু খাই না।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পে শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমার মন্ত্রণালয়ে হাজার কোটি টাকার কাজ হয়। কেউ বলতে পারবে না আমাকে টাকা দিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করুন। তাদেরকে চুরি করতে দিব না, তারা কাজ করবে। যদি কাজ না করে, আমাকে বলবেন, শায়েস্তা করবো।
বিজ্ঞাপন
বিএনপির সমালোচনা করে জাহিদ ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরণ বরিশাল শহরটিকে সাজিয়েছেন। কিন্তু ২০ বছর ধরে সদর উপজেলায় বিএনপির এমপি থেকেও কোনো উন্নয়ন করেননি। তিনি (বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার) কাজ করলে সদর উপজেলার এই অবস্থা হত না। সদর উপজেলার জন্য স্কুল-কলেজ, রাস্তাঘাট কিছু করেননি। এজন্য আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহ্বান জানাই।
তিনি আরও বলেন, আমি এমপি হলাম মাত্র দুই বছর। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ, নদী ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষের দুঃখ-কষ্টগুলোর কথা আমি জানি। যেজন্য প্রতি শুক্রবার ও শনিবার আমি বরিশালে আসি। আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য বানিয়েছেন। আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য ঢাকায় কারও যাওয়ার দরকার নেই। জনগণের কথা সরাসরি শুনতে চাই। কেউ বলতে পারবেন না দেখা করতে এসে পারেননি কিংবা ফিরে গেছেন। কারণ আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে এমপি বানিয়েছেন, এখন আপনাদেরকে দেখভাল করার দায়িত্ব আমার।
জাহিদ ফারুক বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সদর উপজেলার উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছি। যেগুলো অনুমোদন পেলে বদলে যাবে অবহেলিত সদর উপজেলা।
তিনি বলেন, আগে আমরা ভিক্ষুকের দেশ ছিলাম। এখন মধ্যম আয়ের দেশে চলে এসেছি। ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো। এসব সম্ভব হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য।
অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মধু, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জোবায়ের আব্দুল্লাহ জিন্নাহ, চরকাউয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহাবুব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ৬০০ দরিদ্র মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী।
আরএআর