বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার গজারিয়া নদীতে জেলেদের হামলায় খোয়া যাওয়া আনসার সদস্যের অস্ত্র দুদিনেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল অনেক চেষ্টা করেও অস্ত্রটি উদ্ধার করতে পারেনি। ফলে শনিবার (৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হোসেন মাসুদ।

তিনি জানান, গজারিয়া নদীটি স্রোতস্বিনী নদী। ডুবুরিরা জানিয়েছেন- নদীর তলদেশে অসংখ্য ডুবোচর। তাছাড়া প্রবল স্রোতের কারণে তারা নদীর তলদেশে দাঁড়াতেই পারেননি। ফলে পড়ে যাওয়া অস্ত্রটি উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করতে হয়েছে।

ইউএনও বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেই উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে। তবে পরবর্তীতে অস্ত্রটি উদ্ধারে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এছাড়া হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

মেহেন্দীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, মা ইলিশ রক্ষায় মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্পিডবোটে দুজন আনসার সদস্যকে নিয়ে শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে গজারিয়া নদীতে অভিযান শুরু করেন। অভিযান চলাকালে দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের সিকদারের ঘাট এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরা জেলেদের একটি ট্রলার ইউএনওকে বহনকারী স্পিডবোটকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে নিরাপত্তাকর্মী আনসার সদস্য তুহিন এবং ইব্রাহিম ছিটকে নদীতে পড়ে যান। পড়ে যাওয়া আনসার সদস্যদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তুহিনের হাত থেকে তার অস্ত্রটি (শর্টগান) নদীতে পড়ে যায়। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর