রিকশা বন্ধে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
রিকশা বন্ধের ঘোষণা না মানায় টায়ারের হাওয়া ছেড়ে দিচ্ছেন ইউনিয়নের সদস্যরা
সিরাজগঞ্জ জেলা রিকশা ইউনিয়নের সাধারণ সভার কারণে শহরজুড়ে বন্ধ রাখা হয়েছে রিকশা চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রিকশানির্ভর সাধারণ মানুষ। তার চেয়েও বেশি সমস্যায় পড়ছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষ ও রোগীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ইচ্ছা না থাকলেও বাধ্য হয়ে অনেক রিকশাওয়ালাকে রিকশা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এতে দিন এনে দিন খাওয়া রিকশাওয়ালারাও পড়েছেন চরম বিপদে। শহরের রেলগেট এলাকায় দেখা গেছে, রিকশা ইউনিয়নের কিছু সদস্য তা বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি টায়ারের হাওয়াও ছেড়ে দিচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
শহরের এম এ মতিন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রিকশা না পেয়ে প্রায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা তাড়াশ উপজেলার ঘরগ্রাম থেকে ডাক্তার দেখাতে আসা অসুস্থ সাবিত্রী রাণী ঘোষ (৫০) ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্রাম থেকে জানতাম না সিরাজগঞ্জে রিকশা চলাচল বন্ধ আছে। বাস থেকে নেমে প্রায় এক ঘণ্টা এখানে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু এখনও রিকশা পেলাম না। এখন কী করব বুঝতে পারছি না? পরবর্তীতে ঢাকা পোস্টের এই প্রতিবেদক তাকে মোটরসাইকেলযোগে গন্তব্যে পৌঁছে দেন।
আক্কাস আলী নামে এক রিকশা চালক ঢাকা পোস্টকে বলেন, রিকশা চালাতে না পারলে বাড়িতে বাজার যাবে না। জানি না বউ পোলাপানরে আজ কী খাওয়ামু? নেতাগো উচিৎ ছিল আমাগো একটা খোরাকি দেবার।
বিজ্ঞাপন
সিরাজগঞ্জ জেলা রিকশা ইউনিয়নের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের বার্ষিক সাধারণ সভার জন্য সকল রিকশা চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে সভা শেষ হলে রিকশা চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত যাত্রীদের একটু কষ্ট করতে অনুরোধ জানিয়ে ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশও করেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা রিকশা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মানব সরদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, বার্ষিক সাধারণ সভার জন্য রিকশা চলাচল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হলেও সভা শেষে রিকশা চলাচল করবে। তিনিও ক্ষণিকের ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যাত্রীদের একটু কষ্ট মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছি।
এসপি