মাঠজুড়ে সবুজের হাতছানি
দিগন্তজোড়া সবুজ ফসলে মন জুড়িয়ে যায়
কুড়িগ্রামের কৃষকরা এবার গম চাষে ঝুঁকছেন। বন্যায় ধান ও শাকসবজি চাষে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ায় গম চাষ করে ঘুরে দাঁড়াতে চান এখানকার চাষিরা। গমের ফলনও হয়েছে ভালো। ফলে গম চাষে লাভের আশা করছেন চাষিরা।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গম চাষে বেশি পানি, কীটনাশক ও সার লাগে না। কম পরিশ্রমে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এক বিঘা জমিতে আবাদ ভালো হলে ১৪-১৫ মণ গম পাওয়া যায়। খরচও হয় অনেক কম। বর্তমান প্রতি মণ গম বাজারে ১১-১২শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কুড়িগ্রাম জেলায় গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮ হাজার হেক্টর। তবে অর্জন হয়েছে ৮ হাজার হেক্টরের বেশি।
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের শুলকুর বাজারের গমচাষি মো. সামাদ আলী বলেন, আমি প্রায় পাঁচ বিঘা জমিতে গম চাষ করেছি। ফলন যা দেখা যাচ্ছে খুব ভালো হয়েছে। আশা করছি বাজার যদি ভালো থাকে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লোকসান হবে না।
বিজ্ঞাপন
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর গ্রামের কৃষক আহাদুজ্জামান বলেন, গমের আবাদ ভালো হয়েছে। দানাও ভালো দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া যদি ভালো থাকে তাহলে এবার লাভের মুখ দেখা যেতে পারে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বছর গমের আবাদ খুব ভালো হয়েছে। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে কৃষকরা লাভবান হবেন। আর কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ অব্যাহত রয়েছে।
এসপি