পাবনার চাঞ্চল্যকর বিল্লাল হোসেন (৩৭) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী নেতা আবুসহ সর্বমোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় আসামির স্বীকোরোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র এবং ভিকটিমের চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মাসুদ আলম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিল্লাল মিশরী হত্যায় চরমপন্থী সংশ্লিষ্টতার বিভিন্ন সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাতে পাবনা পুলিশের একটি ফোর্সের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিশরী হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি চরমপন্থী নেতা মো. আবুল ওরফে আবুকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়।

আবুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার হেফাজতে থাকা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি ওয়ান শুটারগান ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর হত্যায় ব্যবহৃত রিভালভারটি সুমন আলী (২০) নামের এক সহযোগীর নিকট রেখেছিল। এ সময় ভিকটিমের চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটিও আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। আবু পাবনা সদর উপজেলার হলুদবাড়িয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে। আর সুমন একই এলাকার আলাউদ্দিন মোল্লার ছেলে। অপর দুইজনকে হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পরেই আটক করা হয়। তারা হলেন, চরপাড়া গ্রামের মৃত মান্নাজ ব্যাপারীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৫), ও হলুদবাড়িয়া গ্রামের আরশেদ আলী (৩৮)।

পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) মহিবুল ইসলাম খান জানান, বিল্লাল মিশরী এক সময় আবুলের সাথে একই দলের সদস্য ছিল। হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন আগে সে দল ত্যাগ করে নতুন দল গঠনের চেষ্টা করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আবু তার সহযোগীদের নিয়ে বিল্লালকে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করেছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

চলতি বছরের ২৭ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাবনা সদরের সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাজারসংলগ্ন জামে মসজিদের সামনে সর্বহারার শ্লোগান দিয়ে বিল্লালকে গুলি করে হত্যা করে মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং মৃতদেহ গুমের চেষ্টা করে। বিল্লাল সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল করিমের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী দল সর্বহারা পার্টির স্থানীয় নেতা ছিলেন

রাকিব হাসনাত/আরআই