নবনির্বাচিত কাউন্সিলর হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার ৪
সিরাজগঞ্জে বিজয়ী কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান আসামির ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে সদর থানা চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধ আখতার।
এর আগে শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহযোগিতায় ঢাকার খিলগাঁও এলাকা থেকে ৩ জন ও উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর এলাকা থেকে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ নিয়ে এই মামলায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতাররা হলেন— সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ব্যাপারীপাড়া মহল্লার আনোয়ার হোসেন ব্যাপারীর ছেলে আইনজীবী সানোয়ার হোসেন রতন (৪৫), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এনামুল হাসান লিখন (৩৬), শহীদগঞ্জ মহল্লার শুকুর আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তফা কামাল (৬০) ও উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর এলাকার মাহতাবের ছেলে সাইফুল ইসলাম।
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধ আখতার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শুক্রবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহযোগিতায় ঢাকার খিলগাঁও এলাকা থেকে কাউন্সিলর তরিকুল হত্যার প্রধান আসামি পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী শাহাদত হোসেন বুদ্দিনের ২ ভাই আসামি এনামুল হাসান লিখন ও সানোয়ার হোসেন রতন এবং আসামি গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এ ছাড়াও হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে উল্লাপাড়ার লাহিড়ী মোহনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। এই মামলায় হত্যাকারীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ভোট গণনায় ৮৫ ভোটে বিজয়ী হন তরিকুল ইসলাম। ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরপরই পরাজিত প্রার্থী শাহাদত হোসেনের সমর্থকরা বিজয়ী প্রার্থীদের ওপর হামলায় চালায়। এ সময় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের অস্ত্রের আঘাতে কাউন্সিলর তরিকুল গুরুতর আহত হন।
ওইদিন রাত ৮টার দিকে শহরের বেসরকারি একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ১৭ জানুয়ারি নিহতের ছেলে হৃদয় খান বাদী হয়ে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এমএসআর