সম্প্রীতি নষ্টের সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে সারাদেশে অত্যন্ত ঘৃণ্য ও অপমানজনক কাজ করা হয়েছে। আমরা এটাকে ঘৃণা করি। সুনামগঞ্জ জেলায় এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি এজন্যে আমি গর্ববোধ করি। সারা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমরা সকলে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে সমান মর্যাদায় বসবাস করব। 

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে সুনামগঞ্জে আয়ূব বখত জগলুল স্মৃতি নক-আউট ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

কুমিল্লার পূজামণ্ডপের ঘটনা সরকারের জন্য চরম ব্যর্থতা- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এমন বক্তব্য সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো কথা বলতে পারে। আমরা আমাদের কাজ করে যাব। শেখ হাসিনা পাথরের মতো শক্ত, পাহাড়ের মতো সুদৃঢ়। সাধারণ মানুষের জন্য, সকল ধর্মের ও সকল মতের মানুষের জন্য শেখ হাসিনা কাজ করে। আমরা সকলে দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করি। 

তিনি বলেন, আমি সুনামগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। সুনামগঞ্জের পরিচয়ে আমি পরিচিত। আমি এমন কোনো কাজ সজ্ঞানে করবো না, যাতে আমার জেলার মানুষের ক্ষতি হয়। আমি কি কি কাজ করেছি সেগুলো আপনারা জানেন। এগুলা আমার বাড়ির জন্যে নয়, পরিবারের জন্যে নয়। বিশ্ববিদ্যালয় সুনামগঞ্জেই হবে।

সুনামগঞ্জ স্টেডিয়ামের পাশে বাস করা হরিজন সম্প্রদায় সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমার প্রিয় হরিজন সম্প্রদায়ের ভাই-বোনেরা এখানে থাকেন। একটা কথা আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কখনো কোনো সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেন না। বিশেষ করে আমাদের হরিজন সম্প্রদায়ের ভাই-বোনেরা সমাজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। তাদের ক্ষতি করে, অসহযোগিতা করে কোনো কাজ শেখ হাসিনা কখনো করবে না।  আমি আশ্বস্ত করেতে চাই,  এই স্টেডিয়ামের পাশের বিকল্প সুন্দর জায়গা ডিসি সাহেব খুঁজে বের করবেন। যেখানে আমাদের হরিজন সম্প্রদায়ের ভাই-বোনদের পছন্দ হবে সেখানে কুটির নির্মাণ করে তারপর স্টেডিয়াম প্রশস্ত করা হবে। 

এ সময় সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন, পৌর মেয়র নাদের বখত, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুল আবেদীন, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্দু চৌধুরী বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

সাইদুর রহমান আসাদ/আরএআর