কক্সবাজারের ডুলাহাজারা ও গাজীপুরের পর মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় দেশের তৃতীয় সাফারি পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ আরেক ধাপ এগিয়েছে। জুড়ীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক স্থাপনের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। 

সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় রিপোর্টে কিছু পর্যবেক্ষণ অন্তর্ভুক্তি সাপেক্ষে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এ তথ্য ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন পরিবেশমন্ত্রীর তথ্য কর্মকর্তা দীপংকর বর।
 
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, সাফারি পার্কের প্রস্তাবিত এলাকায় অনেক জায়গা অবৈধ দখলে চলে গেছে। এখানে সাফারি পার্ক নির্মিত হলে আর কেউ অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে পারবে না ফলে এখানকার পাহাড় ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে। বর্তমানে প্রস্তাবিত লাঠিটিলার জড়িছড়া ও লালছড়া গ্রামের ২৭০ একর সাফারি পার্ক এলাকায় অবৈধভাবে বসবাসকারী ৩৭টি পরিবারকে স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জাতির পিতার নামে নির্মিতব্য এ সাফারি পার্কের মহাপরিকল্পনা ও ডিপিপি প্রণয়নের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন।
 
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব কেয়া খান, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী এবং সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটির টিম লিডার তপন কুমার দেসহ মন্ত্রণালয় ও বন অধিদফতরের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
 
লাঠিটিলা দেশের অন্যতম ক্রান্তীয় চিরসবুজ বন। মৌলভীবাজার জেলা শহর হতে ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে সেগুনগাছপ্রধান ওই বনভূমির ৫ হাজার ৬৩১ একর জুড়ে সাফারি পার্ক নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক ও ৫০ কিলোমিটার উত্তরে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। সেখানে বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীদের মধ্যে হাতি, উল্লুক, মায়া হরিণ, উল্টোলেজি বানর, আসামি বানর, মুখপোড়া হনুমান রয়েছে। লাঠিটিলায় ৫ হাজার ৬৩১ একর বনভূমির জায়গা জুড়ে এই সংরক্ষিত বনের নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক’। 

ওমর ফারুক নাঈম/আরআই